ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এক নজরে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে


প্রকাশ: 12/05/2022


Thumbnail

রনিল বিক্রমাসিংহে পঞ্চমবারের মতো শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন। এর আগে তিনি চার মেয়াদে (১৯৯৩-১৯৯৪, ২০০১-২০০৪, ২০১৫-২০১৮ ও  ২০১৮ -২০১৯) প্রায় আট বছর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সর্বমোট ১৮ বছর। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা।

৭৩ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ১৯৪৯ সালের ২৪ মার্চ একটি ধনাঢ্য ও রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে ১৯৭২ সালে সিলন ল' কলেজ থেকে একজন আইনজীবি হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সাথে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তাঁর চাচা রাষ্ট্রপতি জে.আর. জয়বর্ধনে কর্তৃক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এরপরে তিনি শ্রীলঙ্কার সর্বকনিষ্ঠ ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়ে যুব ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রপতি রণসিংহ প্রেমাদাসা বিক্রমাসিংহেকে শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং হাউসের নেতা হিসাবে নিযুক্ত করেন। ১৯৯৩ সালে প্রেমাদাসাকে হত্যার পর উইজেতুঙ্গা রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার আমলে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

বিক্রমাসিংহের জোট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর গুড গভর্নেন্স, ২০১৫ সালের সংসদ নির্বাচনে ১০৬ টি আসন নিয়ে জয়লাভ করে। যদিও এটি সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব ছিল, বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির ৩৫ জনের বেশি সদস্য তার মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। বিক্রমাসিংহেকে ২৬ অক্টোবর ২০১৮ -এ রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অপসারণ করেন এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। বিক্রমাসিংহে সেটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। ফলে একটি সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। 

২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিরিসেনা বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুনঃ নিযুক্ত করার মাধ্যমে সাংবিধানিক সংকটের অবসান ঘটে। তিনি ২০ নভেম্বর ২০১৯  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ২০১৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর মাহিন্দা রাজাপাকসে পুনরায় স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ২০২০  সালের সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কিন্তু সংসদের কোন আসন পেতে ব্যর্থ হন। তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির জাতীয় তালিকার এমপি হিসেবে সংসদে পুনঃপ্রবেশ করেন এবং ২৩  জুন ২০২১ এ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।

বিক্রমাসিংহে ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কার শিক্ষাবিদ এবং ইংরেজির অধ্যাপক মৈত্রী বিক্রমাসিংহেকে বিয়ে করেন। বিক্রমাসিংহে তার ব্যক্তিগত জীবনকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবন খুব কমই প্রচারিত বা আলোচিত হয়। মৈত্রী বিক্রমাসিংহে ২০১৫  সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিক্রমাসিংহের পুনঃনির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক স্পটলাইট এড়িয়ে গেছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭