ইনসাইড বাংলাদেশ

জনসাধারণকে জিম্মি করে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট!


প্রকাশ: 12/05/2022


Thumbnail

ঈদুল ফিতরের আগ থেকে হঠাৎ করেই বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় সয়াবিন তেল। রোজায় সরকারের পক্ষ থেকে তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলে বাজারে কিছুদিন কিছুটা স্থিতিশীল ছিল ভোজ্যতেল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তেলগুলো আগে থেকেই মজুদ করে ফেলে। ফলে দেশের বাজারে তেলের এক কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তখন আরেক দফা বৃদ্ধি করা হয় তেলের দাম। সেই সুযোগটাই খুঁজছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা প্রতি লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা লাভ করতে সব তেল অবৈধ মজুদ করে। এর ফলে দেশের বাজারে তেলের সংকট দেখা দেয়। 

সম্প্রতি এই বিষয়গুলো নজরে নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নামে। আর এই অভিযানে একের পর এক বের হচ্ছে বড় বড় তেলের মজুদ। সব অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে অধিক মুনাফার লোভে এগুলো করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) দিনব্যাপী অভিযানে মজুত তেল জব্দ ও জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর কাপ্তানবাজারসহ দেশের ৬৪টি বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সময়ে দেশের ৩৬ জেলায় অভিযানে দুই লাখ ছয় হাজার ৬৬৩ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়। পরে এসব তেল নির্ধারিত দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।



ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় এবং জেলা কার্যালয়ের ৫৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৫৩ জেলায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজধানীর কাপ্তানবাজারসহ সারাদেশের ৬৪ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১১৪ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৩৬ জেলায় দুই লাখ ছয় হাজার ৬৬৩ লিটার তেল জব্দ করা হয়। এসময় জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। অধিদপ্তরের এসব অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য বিভাগ ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ক্যাব) সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করেন।

এটি শুধু আজকের চিত্র। এইভাবে প্রতিদিনই পাওয়া যাচ্ছে লাখ লাখ লিটার সয়াবিন তেল। অধিক মুনাফা লাভের জন্য যে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে, এতে করে যেমন সাধারণ মানুষ বিপদে পড়েছে, তেমনি সমস্যায় পড়েছে সরকার। সেহেতু সাধারণ মানুষের দাবি এই অভিযান চলমান থাকুক এবং অবৈধ মজুদদারদের কঠোর আইনি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা হউক। তাহলেই অবৈধ মজুদ বন্ধ হবে এবং মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭