ইনসাইড ইকোনমি

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-ডিম-সবজি-মুরগির


প্রকাশ: 13/05/2022


Thumbnail

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম, সবজি ও মুরগির। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১ নম্বর বড় বাজার, মিরপুর রায়েনখোলা বাজার ও পল্লবী এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রায় সব সবজিরই দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। 

মিরপুরের ১ নম্বর বড় বাজার সবজি বিক্রেতা সাজু ফকির বলেন, বাজারে ঈদের পরে সবজির চাহিদা বেড়েছে। রোজায় ক্রেতারা সবজি কম খেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। এছাড়াও দাম বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে গত কয়দিনের বৃষ্টি। মূলত বৃষ্টির কারণেই সবজির দাম বেড়েছে।  

এদিকে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।

মূলত আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত কয়দিনের বৃষ্টি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। 

এসব বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন ৫০ টাকা। দেশি আদা ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।  

এসব বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।  

বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।  

মিরপুরের ১ নম্বর বড় বাজার মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি দামের কথা বলে দেশে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা পযর্ন্ত বাড়ানো হলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। খোলা সয়াবিন তেল নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে রাখছেন ব‍্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, এক লিটার সয়াবিন তেল ২২০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অথচ সরকার নির্ধারিত খোলা তেলের লিটার প্রতি মূল‍্য ১৮০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতলের দাম ৯৮৫ টাকা করা হয়েছে।

ঈদের আগে ২৪০-২৬০ টাকা বিক্রি হওয়া রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিতে। একই দরে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছও। আর ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে। ৪৫০-৫০০ টাকা কেজির টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে। 

১২০ টাকা কেজির পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। চাষের শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে। আর দেশি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিতে। চাষের মাগুর মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও এক কেজি ওজনের (দুই-তিনটি) ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ হাজার টাকায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭