সুইডেন–ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানে আপত্তি তুরস্কের

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানে নিরাপত্তা ঘাটতির কথা বলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নিজেদের এতদিনের নিরপেক্ষতার নীতি বদলে ফেলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দানের আগ্রহের বিষয়টিতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে জোটটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তুরস্ক। 

শুক্রবার (১৩ মে) ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা সমর্থন না করার কথা জানায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আল–জাজিরা। 

যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটোর অনেক সদস্য সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সবুজ সংকেত প্রদান করলেও তুরস্ক নিজেদের আপত্তির বিষয়টি সাফ জানিয়ে দেয়। 

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, আলাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অতিথিশালা। এ পরিস্থিতিতে আমরা তাঁদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা সমর্থন করতে পারিনা।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি এরদোয়ান। 

ন্যাটোতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও অনেক আগে থেকেই জোটটির সঙ্গে কাজ করছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সেনাবাহিনী। আফগানিস্তানের ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন দেশ দুটির সেনাসদস্যরা। দুই দেশই সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

কিছুদিন আগেও ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সাধারণ মানুষের মধ্যে ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়া নিয়ে আগ্রহ ছিল না। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জানিয়েছিলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করতে চায় না তাঁর দেশ। তবে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর দুটি দেশের অধিকাংশ মানুষই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। বদলে গেছে সানা মারিনের অবস্থান। এখন দেশ দুটি ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিজ নিজ পার্লামেন্টে তুলতে চায়।

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর আগে ফিনল্যান্ডের ৫৩ শতাংশ ও সুইডেনের ৪১ শতাংশ মানুষ ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিল বলে জরিপে দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সুইডেনে ন্যাটোতে যোগদানের পক্ষে জনমত ৫০ শতাংশের বেশি হয়েছে। আর ফিনল্যান্ডে এই হার এখন ৬৮।