গর্ভপাত আইন বাতিলের বিপক্ষে আমেরিকা জুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। শনিবার (১৪ মে) এমন কথা ছড়িয়ে পড়ে যে, খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই আইন বাতিলের ঘোষণা আসতে পারে। তারপরই গর্ভপাত বহাল রাখার দাবীতে রাস্তায় নেমে আসে এই আইন বাতিলের বিপক্ষে অবস্থানকারীরা।
প্রায় ৫০ বছর আগে আমেরিকাতে গর্ভপাত আইন বৈধ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের অধিকাংশ রক্ষণশীল মানুষ গর্ভপাতের বিপক্ষে কথা বলার জন্য ১৯৭৩ সালে প্রণীত আইন বাতিল করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে করে নারীদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করেন বিক্ষোভকারীরা।
“যদি তুমি ঠিক করতে না পারো তুমি বাচ্চা নিবে কি না! সেটা যদি তোমার মৌলিক অধিকার না হয় তাহলে আমি জানি না মৌলিক অধিকার আসলে কি?”, এমনটি বলছেন ব্রিটা ভ্যান রোজাম নামের এক বিক্ষোভকারী, যিনি আন্দোলনে অংশ নিতে ফিলাডেলফিয়া থেকে রাজধানী ওয়াশিংটনে এসেছেন।
এদিকে গর্ভপাত আইন বাতিলের আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন আমেরিকার বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। যার মধ্যে আমেরিকা সরকারের আধীনে কর্মরত, সেলিব্রেটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী এলিজাবেথ বলেছেন, নারী কোনো বস্তু বা ভোগ্য পণ্য নয়, কিন্তু এই আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি তেমন দৃষ্টিভঙ্গিই দেখানো হচ্ছে।
একজন নারী যদি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে না পারেন এবং তার শরীরের কি হচ্ছে বা কি হবে তার উপর যদি তার কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে সেটা মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করার মত ব্যাপার হবে। এই ঘটনা তো কোনভাবেই নারী প্রগতির দিকে আগাবে না বরং আমেরিকাকে আবার ১৮৫০ সালের সমাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
সূত্রঃ রয়াটার্স