প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, এই যে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে, এটা মশার বংশবৃদ্ধি ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এই বৃষ্টির ফলে ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় পানি জমবে। যেকোনো পরিত্যক্ত ক্যান, টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট এই রকম পরিত্যক্ত যেকোনো জিনিসের মধ্যে অল্প অল্প বৃষ্টির পানি বিক্ষিপ্তভাবে জমে যায়। মাঝে মাঝে যে বৃষ্টি হচ্ছে এটাই বিপজ্জনক। মাঝে কয়েকদিন ভালো এরপর আবার বৃষ্টি এটা বিপজ্জনক। এই যে পানি জমছে এতে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটবে, এই মশাগুলো আবার ঘরে আসবে।
মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে মশা বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গুর ঝুঁকি, প্রতিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ঘরেরও যদি এমন জমা পানি কোথাও থাকে যেকোনো খানে যেমন, ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে, বারান্দায়, বাথরুমে বালতিতে বা যেকোন জায়গায়। ছাদের ফুলের টব, চতুর পাশে নিমার্ণাধীন বাড়ি, এই মশাগুলো ঘরেই বেশি বংশবৃদ্ধি করে। এইগুলোতে যদি পানি জমে, তাহলে মশার ঝুঁকি বাড়তেই থাকে। সেজন্য মশা নিধন কার্যক্রম ঘরের বাইরে সিটি করপোরেশন করবে আর নিজের ঘর-বাড়ি নিজেকেই পরিষ্কার করতে হবে। সুতরাং জনগণকেও সর্তক থাকতে হবে, প্রশাসনকেও সচেতন থাকতে হবে। নাহলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হবে তখন নয়, সারা বছরই মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। তাহলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি আরও কম থাকবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর এখন একটা সম্ভাবনা আছে। মশা যেহেতু বাড়ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়তে পারে। সিটি কর্পোরেশন এখন থেকেই আরও সতর্ক অবস্থায় থাকা উচিৎ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও যে সেল আছে তাদেরও কার্যক্রম আছে। সিটি কর্পোরেশনের সাথে তাদেরও যোগাযোগ আছে। তাদেরও এই ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিৎ। সম্মিলিতভাবে এই মশা রোধের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ। তাহলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ওইভাবে আসার সম্ভাবনা থাকবে না।