ইনসাইড এডুকেশন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি রোধে মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা আসছে


প্রকাশ: 17/05/2022


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম বন্ধে ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যয়-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বিষয়ে শিগগিরই ইউজিসি থেকে একটি সর্তকতা পরিপত্র জারি করা হবে।

জানা গেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম চলছে। এ ক্ষেত্রে কয়েকজন উপাচার্য বেশ বেপরোয়া। তারা আইনকানুন মানছেন না। এ কারণে গতবছর থেকে নিজেদের বাজেট পাশের আগে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সতর্ক করে পরিপত্র দিয়ে আসছে।

জানা গেছে, ইউজিসির কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে যে আর্থিক অনিয়মের চিত্র তুলে এনেছেন, তাতে উপাচার্য থেকে শুরু করে ড্রাইভার পর্যন্ত বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ গ্রহণ করছেন তহবিল থেকে। উপাচার্যরা কেউ বিশেষ ভাতা আবার কেউ দায়িত্ব ভাতার নামে বেতনের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত হারে অর্থ নিচ্ছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে পূর্ণ বাড়ি দেওয়ার পর বর্গফুট হিসেবে ভাড়া আদায় করা। সহকারী রেজিস্ট্রাররা পঞ্চম বা ষষ্ঠ গ্রেডে আর উপরেজিস্ট্রার চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেডে বেতন নিচ্ছেন। নিয়োগের দিন থেকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নয়ন বা উচ্চতর স্কেল নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।

ইউজিসির প্রস্তাবিত পরিপত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার বা ডরমেটরিতে বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসাভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি বিলের ব্যাপারে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণ আছে। কমিটির অষ্টম বৈঠকে এ নিয়ে আপত্তি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত জনবলকে ইতিপূর্বে দেওয়া বর্গফুট হিসেবে বা নির্দিষ্ট হারে বা সাব-স্টান্ডার্ড (নিম্নমানের) দেখিয়ে বা দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই এ ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত নিয়মে বাড়ি ভাড়া আদায় করতে হবে। আর সুবিধাভোগীর কাছ থেকে অন্যান্য (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) প্রকৃত বিল আদায় করতে হবে। কোনো রূপ ভর্তুকি দেওয়া যাবে না।

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে আরও বলা হয়, এক খাতের অর্থ অন্য খাতে কিংবা মূল খাতের অর্থ অভ্যন্তরীণ কোনো খাতেই সমন্বয় করা যাবে না। কমিশনের অনুমতি ছাড়া কোনো খাতে বরাদ্দের অতিরিক্ত ব্যয় করা যাবে না। কোনো খাতে বাড়তি অর্থের দরকার হলে ইউজিসিকে অবহিত করতে হবে। অনুমোদিত জনবলের বাইরে কোনোপ্রকার নিয়োগ করা যাবে না। বিধিবহির্ভূত নিয়োগে ব্যয়ের অর্থ জন্য বরাদ্দ রাখা হয়নি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তরা অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকেই উৎসব ও নববর্ষভাতা গ্রহণ করবেন।

বলা হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করতে হলে তাকে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে যে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ভাতা নেন না। এ ধরনের জনবলকে চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে কনসোলিডেট পেমেন্ট ফিক্সেশনের সময়ে কোনোভাবেই উল্লেখিত ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭