দুর্দান্ত শুরুর পর সেঞ্চুরি, তবে পানি শূন্যতার কারণে হাতের পেশিতে টান লাগায় খেলার মাঝেই বিরতিতে যান তামিম ইকবাল। তামিমের বিরতিতে মাঠে নামেন লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশ দলের গত এক বছরের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার লিটনকে নিয়ে মুশফিক বাংলাদেশ দলকে শক্ত ভিতে দাঁড় করান। লিটন ৮৮ রানে সাজ ঘরে ফিরে গেলেও ৪ রানে লিড তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।
চতুর্থ দিনের খেলায় দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮৩ রান। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানের বিপরীতে ৪ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪০১ রান।
বর্তমানে ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম ২৩২ বলে অপরাজিত আছেন ৮৯ রানে। তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৩টি। সাথে মুশফিককে ২৫ বলে ১১ রান করে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড কিছুটা ভেজা থাকায় আধা ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হলে তৃতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান দারুণভাবেই মোকাবিলা করেছেন শ্রীলঙ্কান বোলারদের। এই সময়ে বাংলাদেশের প্রথম কোন ব্যাটার হয়ে ৫০০০ রানের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন মুশফিকুর রহিম। দুই ব্যাটসম্যানই শতকের স্বপ্ন দেখলেও প্রথম সেশনের বিরতির পর কাসুন রাজিথার বলে সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। লিটন ফিরে যাওয়ার পরেই মাঠে নামেন বিশ্রামে যাওয়া তামিম ইকবাল। কিন্তু রাজিথার পরের বলেই সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন বাংলাদেশ শেষ করে ৩ উইকেটে ৩১৮ রানে। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ১৩৪ বলে ৫৩ করে। লিটনের সংগ্রহ ছিলো ১১৪ বলে ৫৪। ৭৯ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ হাতে ছিলো ৭ উইকেট।
চতুর্থ দিন আউটের হওয়া লিটন দাসের সংগ্রহ ১৮৯ বলে, ১০ বাউন্ডারিতে ৮৮ রানে। তামিম ইকবাল করেন ২১৮ বল খেলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১৩৩ রান।