ইনসাইড টক

'অ্যান্টিবায়োটিকের এলোমেলো ব্যবহারে ক্ষতি হবেই'


প্রকাশ: 20/05/2022


Thumbnail

অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের এলোমেলো ব্যবহার করলে ক্ষতি তো হবেই। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক তো দেওয়া হয় কোন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে। যদি এলোমেলোভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ হয়, তাহলে এটা পরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিটেন্স হয়ে যাবে। যেখানে সাধারণ ওষুধে কাজ করতো, পরে দেখা যাবে সেটা আর হচ্ছে না। তখন আরও দামি অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে। এতে জটিলতা তৈরি হবে, রোগীর অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে এগুলো তো সমস্যা হবে।

অ্যান্টিবায়োটিক যত্রতত্র ব্যবহার, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে প্রশাসনের নজরদারীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয়, প্রশাসনেরও কিছুটা ঘাটতি এখানে আছে। তাদের হয়তো জনবলও নাই। তাদের বিভিন্ন বাজারে ভিজিটে যাওয়া উচিত। দোকানের লাইসেন্স আছে কি না। যারা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করছে তারা ফার্মাসিস্ট কিনা, তারা লাইসেন্সধারী কিনা। সবাই মিলে তো এখানে জড়িত। প্রশাসন, ডাক্তার, বিক্রেতা এবং রোগী সবাই যার যার জায়গায় দায়িত্ব যদি সুন্দরভাবে পালন না করে, একটা সমন্বয় না থাকে, তাহলে ঝামেলা তো হবেই। দিন দিন তো ঝামেলা হচ্ছেই, সামনে আরও হবে যদি মেইনটেইন না করে।

তিনি বলেন, যারা অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছে সবাই তো কোয়ালিফাইড ডাক্তার না। নন কোয়ালিফাইড ডাক্তারও তো অনেক আছে। কত রকমের ডাক্তার আছে, ফার্মেসীগুলোও ডাক্তারি করে, সবাই মিলে ওষুধ দেয়। সেটা ঠিক না। 

গ্রাম-গঞ্জে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, এটা তো শুধু গ্রাম-গঞ্জে না, সারাদেশের সবখানে কম-বেশি হয়। শহরের কি আর হয় না নাকি, দেশের আনাচে-কানাচে কতো রকম ফার্মেসী আছে, কতো রকমের ডাক্তারও আছে, সবই তো আছে। গ্রামেগঞ্জে অনেকে হয়তো নিজেরাই দোকানে যায়, নিজেরাই কমপ্লেইন করে এবং ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনে নেয়। ফার্মাসিস্ট যারা অনেকে ট্রেইন্ড ফার্মাসিস্ট নয়। হয়তো দোকান আছে কিন্তু ট্রেইন্ড ফার্মাসিস্ট নাই। অনেক জায়গাতেই তো নাই।

তিনি বলেন, অনেক সময় গরিব লোকেরা যেখানে-সেখানে ডাক্তারকে দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নেয়। হয়তো তাদের সামর্থ নেই, টাকা-পয়সা নেই বা হয়তো আছে। অনেকে মনে করে ডাক্তারের কাছে যাবে, লম্বা লাইন, ঝামেলা হবে। আবার রোগীদের আরেকটা অসুবিধা হলো রোগীরা যে ওষুধ খায়, খেয়ে একটু ভালো হলো, পরে আবার বন্ধ করে দেয়। মনে করে আমি তো ভালো হয়ে গেলাম। কিন্তু এটা তো পুরো একটা কোর্স খেতে হয়। কিন্তু সেটা তো করে না। সেটাও তো ক্ষতিকর। আবার দোকানদার যারা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করে তারা অধিক মুনাফার জন্য, ব্যবসার স্বার্থে বিক্রি করে। কোর্স কমপ্লিট না করলে তো কেনাে কাজ করবে না। পরে আবার অসুখটা ফিরে আসবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭