যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) একটি পত্রিকায় ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপরই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে টুইট করেন মাস্ক। সূত্র: রয়টার্স
রয়টার্স জানায়, ২০১৬ সালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে এক বিমানবালাকে যৌন হয়রানি করেন বলে সংবাদমাধ্যম 'বিজনেস ইনসাইডারে' জানানো হয়। তারপরই মাস্ক প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে টুইটে জানান, এমন অভিযোগ চরম অসত্য।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে এক বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ২০১৮ সালে আড়াই লাখ ডলারে রফা করেছিল তাঁর রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ওই বিমানবালা অভিযোগ করেছিলেন মাস্ক তাঁর প্রতি অশালীন ইঙ্গিত করেছেন।
প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির উদ্ধৃতি দেওয়া হয়। তিনি নিজেকে ওই বিমানবালার বন্ধু বলে পরিচয় দেন। ওই বন্ধুকে উদ্দেশ করে টুইটে মাস্ক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি তাঁর অভিযোগের বিষয়ে ওই বন্ধুকে প্রমাণ দিতে বলেন।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে চাইলে, প্রতিবেদন অথবা টুইটের বিষয়ে মাস্ক ও স্পেসএক্স রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিজনেস ইনসাইডারের দাবি, মাস্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই বিমানবালার স্পেসএক্সে কাজ করার সুযোগ নষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে ২০১৮ সালে এ ঘটনায় একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে হয়।
বিজনেস ইনসাইডার বলেছে, স্পেসএক্স আদালতের বাইরে অভিযোগটি মীমাংসা করে। ওই বিমানবালা যাতে বাইরে এ বিষয়ে কথা না বলেন, সে জন্য গোপনীয়তার চুক্তিও করা হয়।
তবে মাস্ক বলেন, বিমানবালাকে নিয়ে প্রতিবেদন ‘রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত একটি হিট কাহিনি’। ‘এই কাহিনিতে আরও অনেক কিছু’ যোগ করার ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাস্ক প্রথম টুইটে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আক্রমণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। এটি তাদের ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল। কিন্তু একটি ভালো ভবিষ্যৎ ও আপনাদের বাক্স্বাধীনতার জন্য লড়াই থেকে কিছুই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
পরে আরেকটি টুইটে মাস্ক জানান এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য টুইটার অধিগ্রহণে হস্তক্ষেপ করা । তবে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে তাৎক্ষণিক বিজনেস ইনসাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।