ইনসাইড পলিটিক্স

দলছুটরা করবে সংকট উত্তরণ!


প্রকাশ: 21/05/2022


Thumbnail

দেশের চলমান সংকট উত্তরণে ও জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে গণফোরামের একাংশ। ২১ মে থেকে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী এক মাসের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সদস্য সংগ্রহ, সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিতে সাংগঠনিক জেলা, মহানগর ও উপজেলায় দ্রুততম সময়ে সম্মেলন ও সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করা। সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব কর্মসূচি-কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। যুবফোরাম, মহিলাফোরাম, কৃষকফোরাম, শ্রমিকফোরাম ও ছাত্রফোরামকে সংগঠিত করতে বিশেষ নজরদারি রাখা এবং ওই সংগঠনগুলো নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। জনস্বার্থে নিয়মিতভাবে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানারসহ প্রচার পত্র বিলি করা হবে।

চলমান সংকট উত্তরণে ও জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে গণফোরামের মাসব্যাপী কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জনমনে। প্রশ্ন উঠেছে চলমান সংকট বলতে তারা কি বুঝিয়েছেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে দলটি কি ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান সে ব্যাপারে খোলাসা করেননি দলটির নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৯২ সালে গণফোরাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়নি। গৃহবিবাদ থেকে বিভক্তি হয়েছে গণফোরাম। ড. কামাল হোসেন হারিয়েছেন তার ২৮ বছরের রাজনৈতিক সঙ্গী। একইভাবে ড. কামাল হোসেনকে ত্যাগ করেছেন গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। সরকারের কট্টর সমালোচক দলগুলোকে নিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গড়ে ওঠে সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যার নেতৃত্বে ছিল গণফোরাম। সে সময় রাজনীতিতে এই জোট নতুন আশার সঞ্চার সৃষ্টি করলেও জনগণের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইস্যুতেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারেন নি।

জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিভক্ত হয়ে যায় দুই ভাগে। দলীয় দ্বন্দ্ব ভুলে একত্রিত হওয়ার কোনো উদ্যোগই নেয়নি বিভক্ত দুই পক্ষের কোনো পক্ষই। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে যে দলে জীবন যৌবন দিয়ে রাজনীতি করেছেন সে দলের গৃহবিবাদ যখন মেটাতে পারেননি জাতীয় রাজনীতিতে গণফোরামের একাংশ তখন এমন কিইবা পরিবর্তন আনার সক্ষমতা রাখেন তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। দেশের জনগণই বা এই গণফোরামকে কতটা গুরুত্ব দিবে সেটাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। কারণ গণফোরামের এই একাংশের নেতৃত্ববৃন্দ্ব দেশবাসীর কাছে দলছুট নেতা হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। তাছাড়া তারেক জিয়ার কাছ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সুবিধার লাভের অভিযোগ রয়েছে মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সুতরাং জনগণ গণফোরামের এই একাংশের ওপর কোনো আস্থা রাখবেন বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭