ইনসাইড টক

আপাতত বিয়ে নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই: তমা মির্জা


প্রকাশ: 21/05/2022


Thumbnail

নৃত্যশিল্পী হিসেবে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন অল্প বয়সে। পরে মডেলিং এবং অভিনয়ে এসে সফলতা পান তমা মির্জা। পরে নাটক, সিনেমায় কাজ করে বেশ আলোচনায় চলে আসেন। ২০১০ সালে এমবি মানিক পরিচালিত ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন, অভিনয় করেন ১৫টিরও বেশি সিনেমায়। কাজের সম্মাননা হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এখন কাজ করছেন ওটিটি মাধ্যমেও। তার প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ মুক্তির পর নিজেকে আবিষ্কার করেছেন নতুনরূপে। এরপর থেকে ওয়েবেই ঝুঁকেছেন এ নায়িকা।

এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে রায়হান রাফি পরিচালিত তমা মির্জা অভিনীত ‘ফ্লোর নম্বর ৭’ ওয়েব ফিল্মটি। মুক্তির পর বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন তমা। সমসাময়িক নানা বিষয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয় তমা মির্জার।



বাংলা ইনসাইডার: ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম 'ফ্লোর নাম্বার ৭' দিয়ে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন। কেমন উপভোগ করছেন বিষয়টি?

তমা মির্জা: 'ফ্লোর নাম্বার ৭' মুক্তির পর যে পরিমাণ প্রশংসা পাচ্ছে তা সত্যই কল্পনার বাইরে। বেশ ভালোই লাগছে। যখন একজন আর্টিস্ট নিজের পরিশ্রম দিয়ে, সাধনা করে কাজটি শেষ করে প্রশংসা পায় সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

বাংলা ইনসাইডার: ওটিটি কাজ করছেন এখন তবে বড় পর্দায় তেমন ভাবে দেখা যাচ্ছে না এর কারণ কি?

তমা মির্জা: করোনার জন্য বড় পরিসরে তেমন ভাবে কাজ হয়নি। যেগুলো এখন মুক্তি পাচ্ছে। পাশাপাশি এখন তেমন ভাবে অনেক বেশী ছবি নির্মাণ হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বেশ কিছু কাজের অফার পেয়েছি তবে আমার মনে হয়েছে সেগুলো থেকে অনেক ভালো স্ক্রিপ্ট ও ক্যারেক্টার ওটিটিতে পাচ্ছি। যার কারণে তেমন ভাবে বড় পর্দায় কাজ করা হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ আমি যেহেতু বড় পর্দার শিল্পী সুতরাং খুব তাড়াতাড়ি বড় পর্দাতেও কাজ শুরু করবো নিয়মিত।

বাংলা ইনসাইডার: শোবিজে কাজ করতে আসলে শুরুতে অনেকেই কাস্টিং কাউচের সম্মুখীন হয়। আপনার ক্ষেত্রে কি এমনটি কখনো ঘটেছে?

তমা মির্জা: হ্যাঁ আমিও কাস্টিং কাউচের সম্মুখীন  হয়েছি। তবে এখন আগের মত কাস্টিং কাউচ নেই। আগে মাধ্যমটা অনেক ছোট ছিলো। নাটক, সিনেমা ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম ছিলো না। তখন জায়গা কম ছিলো। তাই সে সময় অনেক পলিটিক্স হতো। কিন্তু এখন তা নেই। এখন অনেক মাধ্যম আছে কাজ করার। এখন দর্শক শিল্পীদের অভিনয় দেখতে যায়, সেটা যে মাধ্যমেই হউক না কেন। আমাদের জয়া আপা, চঞ্চল চৌধুরী ভাইয়া, সিয়ামের কথা না বললেই নয়। তাঁরা নাটকের পর বড় পর্দাতেও বেশ দাপুটের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু মাত্র তাদের অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে। আমার কাছে মনে হয় আগে মাধ্যমে কম থাকায় কাস্টিং কাউচ বেশী হতো। তবে এখন একেবারে যে হয়না তা বলবো না। গুটি কয়েকজন ছাড়া এখন এইসব নিয়ে কেউ ভাবে না।



বাংলা ইনসাইডার: মিডিয়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নির্মাতা রাফির সাথে প্রেম করছেন আপনি? বিষয়টি কিভাবে দেখছেন আপনি?

তমা মির্জা: রাফিকে নিয়ে অনেক দিন ধরেই অনেক প্রশ্ন করছে অনেকেই। এটি এখন তার নতুন কিছু নয়। এক ধরনের বিরক্তই হয়ে গিয়েছি এখন আমি বিষয়টি নিয়ে। আসলে এখন এটি নিয়ে  আর আমার কিছুই বলার নেই। মানুষ তাঁদের মত করে বলছে, আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। সামনে আরও ভালো, ভালো কাজ করবো। আমি চাই কাজ দিয়েই তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিতে। যারা আমাকে নিয়ে নানা কথা বলছে।

বাংলা ইনসাইডার: শোবিজে যারা কাজ করে বিশেষ করে মেয়েদের অনেকেই অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখে। বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

তমা মির্জা: শোবিজের মেয়েদের সব সময় অন্য চোখে দেখা হয়। খারাপ লাগে তখন যখন একটি মেয়ে অন্য মেয়েদের ছোট করে দেখে। একজন পুরুষ একজন নারীকে অনেক ভাবেই দেখতে পারে কারণ তাদের দৃষ্টিভঙ্গিই আলাদা। কিন্তু একজন নারী হয়ে যখন অন্য নারীকে ছোট করে কথা বলে তখন খারাপ লাগে। আমি অনেক প্রোগ্রামে গিয়ে শুনেছি যে অনেক মহিলাই ফিল্মের অনেক নায়িকাদের নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করতে। আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদও করেছি। তবে হ্যাঁ কিছু কিছু মানুষের জন্য আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা। এক ক্যাটাগরিতে আসলে সবাইকে ফেলানো উচিত না। কিছু কিছু মানুষ হয়তো ভুল করে ফেলে। আর তাঁদের সেই খারাপ দিন ধরে রেখে যারা ভালো কাজ করছে তাঁদের নিয়ে সমালোচনা করা উচিত না। ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই থাকে। সব প্রফেশনের খারাপ লোক নিয়ে তো কোন প্রোগ্রামে হাসির বিষয় হয়না। তাহলে মিডিয়ার কোন ছোট জিনিস হলেই সেটা নিয়ে কেন তারা হাসি-ঠাট্টা করবে। সেই সব মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ মিডিয়া নিয়ে ভালো কথা বলতে না পারেন কমপক্ষে বাজে কথা ছড়াবেন না।



বাংলা ইনসাইডার: আবারও কী বিয়ের পিড়িতে বসার ইচ্ছা আছে?

তমা মির্জা: বিয়ের চিন্তা একেবারেই নাই। একবার বিয়ের পর বেশ শিক্ষা হয়েছে। অভিজ্ঞতা তেমন ভালো ছিলো না। সুতরাং বিয়ের পরিকল্পনা একদমই নাই। আমার মা-বাবা কখনোই চাইবে না আমি একা থাকি। তবে হ্যাঁ পাঁচ বছরের আগে আমি বাবা-মাকে সেই চাপ দেয়ার সুযোগও দিবো না।

বাংলা ইনসাইডার: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

তমা মির্জা: আপাতত কাজ নিয়েই ফিউচার প্লেন। কাজের বাইরে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। তবে মাথায় অনেক কিছুই ঘুরাঘুরি করছে। ভবিষ্যতে যদি কোন ব্যবসা বা প্রযোজনা সংস্থা নিয়ে কখনো ইন্টারেস্ট ফিল করি তবে সেটা নিয়েই কাজ করবো।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭