ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনেরই জয় হবে, এমনটাই মনে করছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, কূটনৈতিক উপায়েই এই যুদ্ধ শেষ হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, আলোচনার টেবিলেই যুদ্ধের সমাধান হবে বলে জানান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের জাতীয় টিভিতে কথা বলার সময় তিনি বলেন, যুদ্ধ রক্তাক্ত হলেও এর সমাধান রয়েছে সমঝোতায়।
রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় তিনমাস ধরে সামরিক অভিযান চালালেও মূলত পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় রুশ বাহিনীর মনোযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। রুশ ভাষাভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডনবাস ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। যার ফলে এই অঞ্চলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমানও হয় অনেক বেশি।
বিবিসি বলছে, রুশ সামরিক বাহিনী ডনবাসের পুরো লুহানস্ক অঞ্চল দখল করার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করায় এখন এই অঞ্চলটির সেভেরোদোনেতস্ক এবং এর আশপাশে প্রচন্ড লড়াই চলছে। এছাড়া দক্ষিণের বন্দরনগরী মারিউপোলে যুদ্ধের সমাপ্তি রুশ সৈন্যদের অন্যত্র মোতায়েন করার জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে এবং এর ফলে ইউক্রেনের পূর্বে আক্রমণ আরও জোরালো করতে পারছে দেশটি।
এদিকে বিবিসির সংবাদদাতা জেমস ওয়াটারহাউস বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আর্টিলারি ও বিমান হামলার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরও জোরদার করেছে। লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ সেনারা আরও মাইলের পর মাইল নতুন ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে এবং সেসব এলাকা থেকে ইউক্রেনীয়রা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ হলে সংঘাত আরও রক্তাক্ত হবে। তবে এই যুদ্ধ কেবলমাত্র কূটনীতির মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে অবসান ঘটানো সম্ভব। তবে এটি যে খুব সহজ হবে না সেটিও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলেনস্কি। কারণ উভয় পক্ষই কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার কিয়েভের প্রধান আলোচক মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত রয়েছে। এর পরদিন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অভিযোগ করেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় না কিয়েভ।