চীন তাইওয়ানে হামলা করলে তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগ করবে, অস্ত্রে জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সোমবার (২৩ মে) এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা এক চীন নীতিতে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু জোর করে (তাইওয়ানকে) নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনাটা একেবারে জুতসই নয়। এতে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং ইউক্রেনের মতো একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
তাইওয়ান ইস্যুকে সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে তুলনা করে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রসঙ্গ টেনে বাইডেন বলেন, ‘রাশিয়া যেন দীর্ঘ মেয়াদে মূল্য চোকায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে, তা না হলে চীন কী করে বুঝবে, তাইওয়ানের ওপর বলপ্রয়োগের জেরে কতটা মূল্য দিতে হবে!’
তাইওয়ানের আকাশে প্রায়ই চীনা যুদ্ধবিমানের প্রবেশ এবং তাইওয়ান প্রণালিতে চীনে নৌবাহিনীর মহড়াসহ নানাভাবে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের বিষয়েও কথা বলেন বাইডেন। তার মতে, তাইওয়ানের আকাশের কাছে বিমান ওড়ানোসহ অন্যান্য তৎপরতার মধ্য দিয়ে চীন ‘বিপদ নিয়ে খেলছে’।
বাইডেনের এসব সতর্কবার্তার জবাব দিতে দেরি করেনি বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের জনগণের দৃঢ় সংকল্প, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও জোরালো সামর্থ্যকে খাটো করে দেখা কারো উচিত হবে না। চীনের কাছে সমঝোতা করা বা ছাড় দেওয়ার কোনো জায়গা নেই।’
জাপানি নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আজ মঙ্গলবার বাইডেনের চার দেশীয় কোয়াড জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা।