করোনার কারণে দেশের দারিদ্র্যতার হারক অনেকটাই প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক মহামারিতে দারিদ্র্যতার হার কিছুটা বেড়ে গেলেও সেই সঙ্কট কাটিয়ে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যতার হার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬’ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশে দারিদ্র্যতার হার সবচেয়ে কম গুলশানে (০.৪ শতাংশ) এবং সবচেয়ে বেশি কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুরে (৭৯.৮ শতাংশ)।
জেলা বিবেচনায় ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬’ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ (২.৬ শতাংশ) এবং সবচেয়ে বেশি বান্দরবান পার্বত্য জেলা (৬৩.২ শতাংশ)।
এদিকে, বিভাগের বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যতার হার রংপুরে (৪৭.২৩ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ঢাকায় (১৬ শতাংশ)। বাকি বিভাগ গুলোর দারিদ্র্যতার হার - ময়মনসিংহ (৩২.৭৭ শতাংশ), রাজশাহী (২৮ শতাংশ), খুলনা (২৭.৪৮ শতাংশ), বরিশাল (২৬.৪৯ শতাংশ), চট্টগ্রাম (১৮.৪৩ শতাংশ), সিলেট (১৬.২৩ শতাংশ)।
‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬’ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিভাগের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে দারিদ্র্য হার গ্রুপে অবস্থানকারী উপজেলার সংখ্যায় বৈষম্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায় চট্টগ্রাম বিভাগে।
বিবিএসের খানা জরিপ অনুসারে, ২০১৬ সালে দেশের গ্রামাঞ্চলের সার্বিক দারিদ্র্য ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৮ সালের জিইডি-সানেম জরিপ অনুসারে যা ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু করোনার প্রভাবে ২০২০ সালে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ আর করোনার সময়ে ২০২০ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ।