ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চের যত ইতিহাস


প্রকাশ: 26/05/2022


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘আজাদি মার্চের’ দিকে নজর এখন দেশটির সকলের। ইতিহাসের দিকে একটু দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে রাজধানী অভিমুখে এমন লংমার্চ নতুন কোনো ঘটনা নয় দেশটির রাজনীতিতে। শহরটি গত কয়েক দশক ধরে বেশ কয়েকটি বড় বড় রাজনৈতিক আন্দোলন দেখেছে। 

পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান খান বড় শক্তি হয়ে উঠার আগে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রয়াত বেনজির ভুট্টো এবং নওয়াজ শরিফ উভয়েই যখন বিরোধী ছিলেন তখন তারা দেশটির ইতিহাসে বেশ কয়েকটি বড় বড় লংমার্চের নেতৃত্ব দেন। 

তবে এবারের লংমার্চটি কিছুটা ভিন্নতা নিয়ে এসেছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে। আর এর সবচেয়ে বড় কারণ ইমরান খান নিজে। 

ক্রিকেট বিশ্বকাপে একবারই বিশ্বজয়ের মালা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো পাকিস্তানের। আর সেটি এসেছিলো ইমরান খানের সৌজন্যই। সেই থেকে তিনি পাকিস্তানের মানুষের কাছে এক অন্য উচ্চতায় অবস্থান করা একজন। জনপ্রিয়তার সেই রেশকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময়ের সংগ্রামের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ঠিকই বসেছিলেন, কিন্তু দেশটির অলিখিত এক অভিশাপের মতো পূর্ণ মেয়াদ পার হবার আগেই অনাস্থা ভোটে গদি ছাড়তে হয় তাকে। 



বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখতে এবং দেশকে বাঁচানোর কথা বলে দেশটিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কথা ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই বলে আসছিলেন তিনি। যদিও বর্তমান সরকার বার বার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় বলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় গড়িমসি করছিলো, আর তাই জনগণকে সাথে নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের কথা বলে রাজধানী অভিমুখে লংমার্চের ডাক দেন ইমরান খান। 

যদিও এবার ইমরান খানের বিপক্ষে রয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরনো ও শক্তিশালী দুই দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) জোটবদ্ধভাবে। তাদের গড়া নতুন সরকার পিটিআইকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ইমরান ঠিকই বিশ্বকাপের মঞ্চের মতো শক্তহাতেই সামলে নিচ্ছে এই লড়াই। 

এবার দেখে নেওয়া যাক ইসলামাবাদ অভিমুখে বিখ্যাত কিছু লংমার্চ ও অবস্থান ধর্মঘটের ঘটনাপ্রবাহ... 

১৯৮০

ইসলামাবাদে প্রথম বড় বিক্ষোভ হয় ৪ ও ৫ জুলাই ১৯৮০ সালে। সেসময় দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউল হক কর্তৃক জাকাত ও উশর অধ্যাদেশ জারির ফলে শিয়া সম্প্রদায় এর প্রতিবাদে রাজধানী অভিমুখে মিছিল করে। 

শিয়া নেতা মুফতি জাফর হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল সচিবালয় ঘেরাও করে, এরফলে কার্যত দেশটির আমলাতান্ত্রিক কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। তখনই সরকার বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের সকল দাবি দাওয়া মেনে নেয়। 

১৯৮৯

পরের বিক্ষোভটিই অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালের ১৭ই আগস্ট। বেনজির ভুট্রুর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রথম মেয়াদে। নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সবগুলো বিরোধী দল রাজধানীর ফয়সাল মসজিদে দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। বিক্ষোভটি ছিলো অনেকটা আজকের দিনের মতই। যখন নতুন একটি সরকার দেশটির ক্ষমতায় মাত্রই অধিষ্ঠিত। এটি ছিলো সরকারের জন্য প্রথম বড় রাজনৈতিক পরীক্ষা। 

যদিও পরবর্তীতে শাসকদল বিরোধীদের ফয়সাল মসজিদে প্রবেশে অনুমতি প্রদান করে। সেখানে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন ও রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেন যে এটি করার মাধ্যমে, মিছিলকারীরা যা চেয়েছিল তা পেয়েছে।

১৯৯২ 
 
এবারের লংমার্চটি হয় বেনজির ভুট্টোর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৬ নভেম্বর। তখন বেনজির ছিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলের নেতা। ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে একটি লং মার্চের ঘোষণা দেন বেনজির। এই আন্দোলন এতটাই তীব্র ছিলো যে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে প্রথম সরকারকে ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হন দেশটির প্রয়াত রাষ্ট্রপতি গোলাম ইসহাক খান। যদিও পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের ২৬ মে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে নওয়াজের সরকারকে আবারো দেশটির ক্ষমতায় পুনর্বহাল করা হয়েছিল। 

১৯৯৩ 

সুপ্রিম কোর্টের আদেশে নওয়াজ শরিফ ক্ষমতায় পুনর্বহাল হলেও ঠিক পরের বছর ১৬ জুলাই বেনজির ভুট্টো আবার রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করেন। তখন পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলো যে রাজধানী সাথে সারা দেশের সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো। সেই সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াহেদ কাকার চাপে রাষ্ট্রপতি গোলাম ইসহাক খান এবং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। 

২০০৭

পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে এবার একজোট হয় দেশটির আইনজীবীরা। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে যখন দেশটির প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীকে মোশাররফ বরখাস্ত করেন তখন বিচার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আইনজীবীদের এই আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একসময় এক দীর্ঘ লংমার্চে পরিণত হয়। 

এসময়য় এই আন্দোলন বিচারপতি চৌধুরী এবং তার কর্মীদের নেতৃত্বে আইনজীবী নেতা আইতজাজ আহসান, মুনির এ. মালিক এবং আলী আহমেদ কুর্দ সহ সারা দেশে এই পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচারণা চালান। 

এই আন্দলনা শুরু হওয়ার পর মোশাররফ ২০০৭ সালের নভেম্বরে দেশে জরুরু অবস্থা জারি করেন। এসময় তিনি অনেক বিচারককে আটক করেন। তাদের শপথ পুনরায় গ্রহণ করা হয়। 

এটি আইনজীবীদের বিক্ষোভের দ্বিতীয় ধাপকে উস্কে দিয়েছিলো। পরবর্তীকালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির শাসনামলে রাজধানীতে আবারো আইনজীবীদের লংমার্চ সংগঠিত হয়। নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং উচ্চতর বিচার বিভাগের অন্যান্য সমস্ত বিচারকদের পুনর্বহাল করার ঘোষণা দিয়ে গভীর রাতে বক্তৃতা দেওয়ার পরে গুজরানওয়ালায় মার্চটি বন্ধ হয়। 

২০১৩-১৪ 
 
মামা কাদিরের নেতৃত্বে, প্রায় ৩০ জন মিছিলকারীর ‘ভয়েস অফ বেলুচ মিসিং পার্সন’ একটি দল যারা কিনা পায়ে হেটে কোয়েটা থেকে করাচি হয়ে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। মিছিলকারী দলের ভেতর বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশু সদস্য সংযুক্ত ছিলো। তারা মোট ২০০০ কিলোমিটার হেটে গান্ধির সল্ট মার্চের রেকর্ডটি ভেঙ্গে দেন। যদিও তাদের এই যাত্রায় যথেষ্ট শক্ত কারণ ছিলো কিন্তু তাদের এই আন্দোলন ও দাবি মেনে নেয়নি সরকার। 



২০১৩ 

পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি) প্রধান ডঃ তাহিরুল কাদরি ১৪ জানুয়ারী ২০১৩ সালে লাহোর থেকে ইসলামাবাদের অভিমুখে যাত্রা করেন এবং ডি-চকের কাছে জিন্নাহ এভিনিউতে চার দিনের বেশি সময় ধরে ক্যাম্প করে অবস্থান করেন। সেসময় সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সফল আলোচনার পর সেই অবস্থান কার্যক্রম শেষ হয়। 

২০১৪ 

পিটিআইয়ের সর্বশেষ সরকার বিরোধী বড় প্রতিবাদ মিছিল ও রাজধানীতে অবস্থান কার্যক্রম হয় ২০১৪ সালে। তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগ এবং ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের অডিট দাবি করে দলটি রাজধানীতে ১২০ দিন অবস্থান করে। সেসময় পিটিআইকে সমর্থন করেন পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি) প্রধান ডঃ তাহিরুল কাদরি। পিটিআইয়ের সমর্থনে সেসময় তিনি দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীতে অবস্থান করেন। 

পিটিআই এবং পিএটি ১৫ আগস্ট কাশ্মীর হাইওয়েতে তাদের অবস্থান শুরু করে এবং ১৯ আগস্ট রাজধানীর রেড জোনে প্রবেশ করেন। ১২৬ দিনের বিরতিহীন প্রতিবাদের পর, ইমরান খান ১৭ ডিসেম্বর পেশোয়ার সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের বাইরে অবস্থান প্রত্যাহার করেন। পেশোয়ারের সেই ভয়াবহ হামলায় ১৪০ জনেরও বেশি স্কুলছাত্রী নিহত হয়। 

২০১৭ 

খাদিম হুসাইন রিজভীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালে, তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) এর হাজার হাজার সমর্থক ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিকে কার্যত পঙ্গু করে দিয়েছিল। সেসময় তারা ফৈজাবাদ ইন্টারচেঞ্জ ও শহর দুটির মাঝে প্রধান সংযোগ সড়ক অবরোধ করে রাখে। 

২০১৯

২০১৯ সালে পিটিআই সরকারের বিরুদ্ধে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল ১৩ দিনের অবস্থানের ধর্মঘট পালন করে। দলটির লংমার্চ ২৭ অক্টোবর করাচি থেকে শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর ইসলামাবাদে প্রবেশ করে। 

সরকারের কঠোর অবস্থান ও প্রধান দুই বিরোধী দল পিএমএল-এন এবং পিপিপির কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান অবস্থান প্রত্যাহার করেন। ধর্মঘট প্রত্যাহারের সময় তিনি প্ল্যান-বির কথা বলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সমূহে তাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। 

২০২০ 

মহানবীর ব্যাঙ্গাত্তক কার্টুন আকাকে কেন্দ্র করে প্যারিসের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং ফরাসি পণ্য বয়কটের দাবিতে টিএলপি ১৫ নভেম্বর লিয়াকত বাগ রাওয়ালপিন্ডি থেকে ইসলামাবাদের ফৈজাবাদ পর্যন্ত 'তাহাফুজ নমুস-ই-রিসালাত' নামে লংমার্চ শুরু করে। তখন প্রশাসনের সাথে টিএলপির সদস্যদের সংঘর্ষে লিয়াকত বাগ একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। 



১৬ নভেম্বর, টিএলপি ঘোষণা করে, সরকার তাদের চারটি দাবি মেনে নিয়েছে। এরপর দলটি ফৈজাবাদ থেকে তাদের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

২০২১ 

বেলুচিস্তানে জোরপূর্বক গুম বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা রাজধানীতে এক সপ্তাহব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে ক্যাম্প স্থাপন করলেও তাদের এই ধর্মঘট সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে বিক্ষোভকারীরা ১৬ ফেব্রুয়ারি ডি-চক অভিমুখে তাদের মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাদের সাথে দেখা করবেন বলে আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভকারিরা ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। 

সামি বেলুচ নামে এক বিক্ষোভকারি সেসময় জানান, "এই সরকারের কাছ থেকে আমাদের কোন বড় আশা নেই, তবে তারা যেভাবে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, আমরাও তাদের একটি সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,"

২০২২ 

ফেব্রুয়ারি মাসে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি ‘আওয়ামী মার্চ’ নামে ইসলামাবাদ অভিমুখে একটি লংমার্চের ঘোষণা দেন। যেটি দেশটির ৩৪টি শহর ঘুরে রাজধানী অভিমুখে যাত্রা করবে। 

২৮শে ফেব্রুয়ারি, করাচির ক্লিফটনের বিলাওয়াল চৌরঙ্গী থেকে রওনা হয় অনেক শ্রমিক। মিছিল চলাকালীন, বিলাওয়াল প্রাক্তন পিটিআই সরকার এবং ইমরান খানকে দেশের দুর্দশার জন্য দায়ী করে কটাক্ষ করেন। 

১০ দিনের লংমার্চ শেষ পর্যন্ত 8 মার্চ ইসলামাবাদে সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সূত্র: ডন 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭