ইনসাইড টক

'ইলেকট্রিক গাড়ির মাধ্যমে অনেক সস্তায় পরিবহন ব্যবস্থা পাওয়া যাবে'


প্রকাশ: 26/05/2022


Thumbnail

ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা, বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির স্বপ্নদ্রষ্টা মীর মাসুদ কবির বলেছেন, ইলেকট্রিক গাড়ির মাধ্যমে আজকে যারা নিজেদের গাড়ির কথা চিন্তাই করতে পারে না তারা হয়তবা অনেক সস্তায় পরিবহন ব্যবস্থা পাবে। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক ভেইকেল একটি পরিবর্তন আনবে বলে আমরা মনে করছি। যদি বাংলাদেশে আমরা ঠিকমত করতে পারি তাহলে আমরা এগুলো উৎপাদনের গ্লোবাল হাব হতে পারি। উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে কয়েকটি জিনিষ প্রয়োজন হয়। প্রথম হচ্ছে মানুষ। আমাদের মানুষ রয়েছে। দ্বিতীয় হচ্ছে অনুকূল পরিবেশ তৈরি। যেখানে সবাই ইনভেষ্ট করতে আগ্রহী হবে। সেটাও আমাদের সরকার করার জন্য চেষ্টা করছেন। তৃতীয় বুদ্ধিদিপ্ত ক্ষমতা। আমাদের জাতিতে বুদ্ধিদিপ্ত ক্ষমতা অনেক উপরে। এখন আমাদের একটাই বিষয় এই সবগুলোকে একসঙ্গে নিয়ে আসা।

বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন এবং এই গাড়ির খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন মীর মাসুদ কবির। পাঠকদের জন্য মীর মাসুদ কবির এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
 
মীর মাসুদ কবির বলেন, সরকার যদি ইভি ম্যানুফ্যাকচারিং বান্ধব হয় তাহলে দুটি জিনিষ হবে। একটি হলো দেশে পরিবহন খরচ কমে আসবে। দক্ষতা বাড়বে। পরিবহনের দ্বার উম্মোচিত হবে। আরেকটি হলো, বিদেশে আমরা এই গাড়িগুলো রপ্তানী করতে পারবো। এখন এ ক্ষেত্রে সরকার ম্যানুফ্যাকচারিং বান্ধব কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। সরকার ইতিমধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য কিছু স্টেপ নিয়েছে সেগুলো এক্ষেত্রে আসতে পারে। তারপর ইলেকট্রিক ভেইকেল এর কিছু পার্টস আছে যেমন, ব্যাটারি, মোটর, কন্ট্রোলার এগুলোর যে কমপোনেন্ট এবং র ম্যটেরিয়াল আছে সেগুলো যদি আমরা শুল্কমুক্তভাবে আনতে পারি তাহলে ওই ইন্ডাসট্রিতেও আমরা ভালো করতে পারবো। এক্ষেত্রে ট্যাক্স, ভ্যাট এগুলোর ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়া বা সুযােগ সৃষ্টি করা।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি হচ্ছে, যে মানুষটি ব্যবহার করবে সরকার তাদেরকে ইনসেনটিভ দিতে পারে। ইনসেনটিভ টা হচ্ছে একটি গাড়ি কিনতে গিয়ে যে ট্যাক্স, রেজিষ্ট্রেশন কষ্ট, ফিটনেস কষ্ট দিতে হয় ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে সেগুলো সব মওকুফ করে দেওয়া হয় তাহলে দেশের উপকার করা হবে। কারণ আজকে একটি পেট্রোল গাড়ি মানে বহু বছরে কার্বণ ছড়ানোর ব্যবস্থা। ইমপোর্টেড ফুয়েল খাবে। এগুলো অনেক টাকা খরচ করেও পরে ঠিক করা যাবে না। আজকে যদি সামান্য ইনসেনটিভ যারা ভোক্তা তারদেরকে সরকার দেয় তাহলে ভবিষ্যতে এটি বড় উপকারে আসবে।

মীর মাসুদ কবির বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার এটি করেছে। আমেরিকার সরকার প্রায় ১৭ শতাংশ ট্যাক্স বেনিফিট দেয়। চীন সরকার প্রতি গাড়িতে ৬-৯ হাজার ডলার ভর্তুকি দেয়। নরওয়ের সরকার ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। বাংলাদেশ কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে এটি করেছে। ফলে এটি ভোক্তাদেরকে উৎসাহিত করছে। ফলে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রেও সরকার চিন্তা করতে পারে। আর আরেকটি বিষয়, সেটি হলো এই ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা উন্নয়নের দরকার আছে। আমাদের অনেক লোক আছে কিন্তু দক্ষতা ভালো নাই। এটির জন্য যদি সরকার ৫ হাজার লোককে বিভিন্ন গাড়ি কোম্পানীতে ট্রেনিং এর জন্য পাঠায় এবং ৬ মাস বা ১ বছর তাদের ওই গাড়ির কোম্পানীতে কাজ করিয়ে নিয়ে আসি তাহলে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনশক্তির এই ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭