মার্কিন দূতাবাসের আয়োজনে 'ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে' রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ ইএমকে সেন্টারে উদযাপিত হলো। গত মঙ্গলবার (২৪ মে) ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক মিনু, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, ব্রিটেনের উপ-হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
দেখা যায়, অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। এক-এগারোর অন্যতম কুশীলব এবং বিরাজনীতিকরণে সচেষ্ট দেশের অন্যতম শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ আরও অনেকই একই অনুষ্ঠানে যেখানে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ বিপরীত। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে জিইয়ে রাখা, মদদ দেয়া, দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্তকারী হিসেবেও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ অনেকের নাম শোনা যায়। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে এমন ব্যক্তিদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিকরাও একসাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে যে, স্বাধীনতার চেতনার সাংবাদিকরা কেন এক-এগারোর কুশীলবদের সাথে?