ক্লাব ফুটবলের বিশ্বকাপ হিসেবে খ্যাত চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্তাদ দো ফ্রান্সে, সেটাও ভাগ্যক্রমে। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা ফাইনালের ভেন্যু মস্কো থেকে সরিয়ে প্যারিসে নেওয়াতেই এত বড় সুযোগ পেয়েছে ফ্রান্স। কিন্তু উপলক্ষের মর্ম স্তাদ দো ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ম্যাচের ৭২ ঘণ্টার কম সময় আগে স্টেডিয়ামে নতুন ঘাস বসানো হয়েছে।
যে মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হচ্ছে, সে মাঠে এত দেরিতে কেন নতুন ঘাস বসানো হচ্ছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির অবশ্য এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।
গত মঙ্গলবার স্টেডিয়ামের পুরোনো সব ঘাস সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপরই নতুন ঘাস বসানোর কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু সেটা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ—দুই দলই অনুশীলন করেছে মাঠে, কিন্তু অনুশীলনের পরও মাঠ নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট দেখা যায়নি ক্লপকে।
এর আগেও মাঠের ঘাস নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখিয়েছেন ক্লপ। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগে এ নিয়ে আবার কথা বললে সবাই যে একে অজুহাত হিসেবে দেখবে, সেটা জানা আছে লিভারপুল কোচের। এ কারণে শুরুতে বলে নিয়েছেন, ‘আমি আশা করি, কেউ এমন গল্প বানাতে শুরু করবে না—ক্লপ ঘাস নিয়ে কান্নাকাটি করছে। কারণ, আমি তা করছি না। সব ঠিক আছে। আমি শুধু বলছি, ভিন্ন কিছুও করা যেত।’
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের মাত্র দুই দিন আগে এভাবে ঘাস বসানো হলো কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্লপ, ‘আমি জানি না এটা কতটা ভালো বা খারাপ। মাত্রই দেখে এসেছি। রেফারিরা দেখলাম অনুশীলন করছে এবং বল বাউন্স করছে দেখলাম। হয়তো এটা একদম ঠিক আছে, কিন্তু দেখতে ঠিক আছে বলে মনে হচ্ছে না।’
তবে মাঠের অবস্থা নিয়ে খুব একটা যে চিন্তিত এমনও নয়, ‘গতকাল বসানো হয়েছে এটা, যা খুব একটা ভালো খবর না। কিন্তু এটা দুই দলের জন্যই একই হবে। তারা কোথায় কোথায় ঘাস বসিয়েছে, সে দাগও দেখা যাচ্ছে। আমরা এর সঙ্গে অভ্যস্ত নই। কেউ একজন যে ভেবেছে ম্যাচের এক দিন আগে স্টেডিয়ামে ঘাস বসানো যেতে পারে, এটা খুবই চিত্তাকর্ষক। কিন্তু এতে আমার কিছু যায় আসে না। এখানে আসতে পেরে আমি আসলেই খুশি। আমি এই ম্যাচ পেতঁকের (মার্বেল জাতীয় খেলা, যা যেকোনো জায়গায় খেলা যায়) মাঠেও খেলতাম।’
ওদিকে আনচেলত্তির কাছে মনে হচ্ছে নতুন ঘাস ম্যাচের ফলে প্রভাব ফেলবে না, ‘হ্যাঁ, আমি জানি ঘাস নতুন করে বসানো হয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো পরীক্ষা করে দেখিনি। আমরা অনুশীলন করব, কিন্তু মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।’