ইনসাইড পলিটিক্স

যত দোষ নন্দ ঘোষ


প্রকাশ: 29/05/2022


Thumbnail

গত বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে  টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকে পদ্মা নদীতে নিয়ে দুই চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে বিএনপি। রাজপথে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে দলটি। বস্তুত প্রধানমন্ত্রী সেদিন তার কথার মধ্য দিয়ে কাউকে কোনো প্রকার হুমকি দেন নি। দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন তাদের তিনি উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তার ওই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে।

এদিকে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কথার কোনো জবাব না দিয়ে উল্টো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলটি যে হত্যা অভিযোগ তুলেছে সেই একই অভিযোগ এখন বিএনপির ওপর বর্তায়। প্রধানমন্ত্রী যখন ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দিলেন বিএনপি তখন হত্যার অভিযোগ তুলল। বিষয়টি এমন যে, যত দোষ নন্দ ঘোষ। অথচ তাদের কথায় যেটা হুমকি সেটি এখন তারা নিজেরাই করছেন। 

গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় গেলে মহাসচিবকে পুলিশ মন্ত্রী বানিয়ে দিব। তাই যা করবেন একটু বুঝে শুনে করিয়েন। এখান থেকে চলে গেলেই বেঁচে যাবেন না।” এ কথার মধ্য দিয়ে দুদু সরাসরি সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা হুমকি দিয়েছেন। যা অত্যন্ত গহিত অপরাধ।

এর পরের দিন শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুদুকে অনুকরণ করে আবার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের পরিণতি বিশ্বজিৎ এবং আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের মতো হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শামসুজ্জামান দুদু এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা সরাসরি হুমকি। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহি:ভূত অপরাধ। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর কে হামলা করলো সেটা তদন্ত সাপেক্ষের বিষয়। যারাই হামলা করুক না কেন সেটা তদন্তের পর আদালত আইন অনুযায়ী শাস্তি নিধারণ করবে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখেন না। এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা মনে করেন। অতএব আমাদের অবশ্যই আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭