দেশ ছাড়ার জন্য সব ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতিপত্র থাকলেও দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। ন্যাটোর একটি পর্ষদে বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য লিথুয়ানিয়া যাওয়ার কথা থাকলেও দেশত্যাগে বাধার মুখে পড়েছেন সাবেক এই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় শনিবার ( ২৭ মে) দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে সরকার তথাকথিত রাজনৈতিক যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে তাকে দেশত্যাগে বাধা দিচ্ছে।
২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন পোরোশেঙ্কো। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাকে ঘন ঘন প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা চলছে। পোরোশেঙ্কোর দাবি করেন, ওই মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মিত্রদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। তবে গত জানুয়ারিতে আদালত তাকে মামলা চললেও স্বাধীনভাবে চলাফেরার অনুমতি দেন।
ইউক্রেনের এই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটির পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক সহায়তা দিতে ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে অবৈধভাবে কয়লা বিক্রির সঙ্গে জড়িত তিনি।