মারিওপোল বন্দর থেকে রাশিয়ার একটি জাহাজে করে ধাতব পদার্থ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
এদিকে, মারিওপোল বন্দর থেকে ধাতব পদার্থ নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিকে ‘ছিনতাই’ বলে ঘোষণা করেছে। খবর রয়টার্সের।
বার্তা সংস্থা তাসের কাছে বন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, সোমবার রাশিয়ার জাহাজটিতে দুই হাজার ৭০০ টন ধাতব পদার্থ বোঝাই করে ১৬০ কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার রোস্তভ–অব–ডন শহরের পূর্বাঞ্চলে নেওয়া হবে। তবে এসব ধাতব পদার্থ কোথায় উৎপন্ন হয়েছে তা তিনি বলেননি।
ইউক্রেনের মানবাধিকার ন্যায়পাল লিউডমিলা ডেনিসোভা বলেছেন, চালানটিতে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার লুটপাটের মালামাল রয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে দেনিসোভা লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের অস্থায়ীভাবে দখলকৃত অঞ্চলে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনীয় শস্য চুরির পরে দখলকারীরা মারিউপোল থেকে ধাতব পণ্য লুটে নিতে শুরু করেছে।’
ইউক্রেনের বৃহত্তম ইস্পাতপণ্য নির্মাতা মেটিনভেস্ট গত শুক্রবার বলেছে, মারিউপোলে আটকে থাকা কয়েকটি জাহাগে করে ধাতব পণ্য চুরি করে পাচার করার কাজে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। এ বিষয়ে তারা উদ্বেগে রয়েছে। রাশিয়া তাদের পণ্য চুরি করে নিতে পারে। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দস্যুবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।
মারিওপোল থেকে সরিয়ে নেওয়া ধাতব পদার্থ মেটিনভেস্টের কিনা সে প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘হ্যাঁ, মারিউপোল বন্দরে আমাদের পণ্য রয়েছে।’
গত সপ্তাহে মারিওপোল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে রাশিয়া জানায়, আজভ সাগরের কাছে আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় আশ্রয় নেওয়া ২ হাজার ৪০০ ইউক্রেন সেনা আত্মসমর্পন করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানায়, মারিওপোল বন্দর থেকে সব মাইন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটি এখন বাণিজ্যিক বন্দর হিসেবে কার্যক্রম শুরুর জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
মারিওপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ফলে আজভ সাগর উপকূলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন মস্কোর হাতে চলে এসেছে। এখন একটি সেতু তৈরি করে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়ার যোগাযোগ স্থাপন সফল হয়েছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নামে হাজারো সেনা পাঠায় রাশিয়া। মস্কো বলেছিল, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করতে তারা অভিযান চালিয়েছে।
কারণ ইউক্রেনের সেনারা রুশ ভাষাভাষী মানুষের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে মস্কো। কিন্তু কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাশিয়ার এই আক্রমণের পটভূমির বিষয়টিকে ভিত্তিভীন বলে উড়িয়ে দেওয়া।