ইনসাইড টক

‘মাঙ্কিপক্স সিরিয়াস না, তবে সর্তক থাকতে হবে’


প্রকাশ: 30/05/2022


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, মাঙ্কিপক্স কোন নতুন রোগ না, এটা অনেক পুরনো একটা ভাইরাস। এটা ১৯৭০ সালে প্রথম কঙ্গোতে পাওয়া গেছে, পরে আফ্রিকাতে পাওয়া গেছে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি সাধারণত বানর থেকে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ইদানীং একটু উদ্বেগের কারণ হলো পূর্বে এটা শুধু আফ্রিকাতে ছিল কিন্তু এটা এখন আর আফ্রিকাতে নয় সারা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশকিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে দেখে মানুষের মধ্যে একটু ভয় ঢুকেছে।

দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ঝুঁকি, প্রতিরোধে সতর্কতা এবং মাঙ্কিপক্সের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিং।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাঙ্কিপক্স রোগটি কোনো সিরিয়াস বা জটিল না। করোনার মতো ছড়ানোর অতোটা ঝুঁকি নাই। তবে সর্তক থাকতে হবে, আমাদের সচেতন থাকতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। যদিও বলা হচ্ছে রোগটি বানর থেকে এসেছে কিন্তু আসলে বানর থেকে না। এটি মূলত হয় ইঁদুর থেকে, কাঠবিড়ালি, সজারু এইগুলো থেকে হয়। এই সমস্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসলে বা এরা যদি কামড় দেয়, আঁচড় দেয় তাহলে একটা ঝুঁকি থাকে। আর মানুষ যদি আক্রান্তও হয় তাহলে মানুষে মানুষে আক্রান্তের ঝুঁকিটা কম, বেশি না তবে আক্রান্ত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রোগীর কোনো রক্ত বা ঘা যদি থাকে তাহলে সরাসরি সংস্পর্শে বা তার ব্যবহার্য কোনো জিনিসপত্রের মধ্য দিয়ে ছড়াতে পারে। কিন্তু তাতেও ঝুঁকিটা অনেক কম এবং এক্ষেত্রে অনেক রেয়ার। তবে জনগণকে খেয়াল রাখতে, সচেতন থাকতে হবে। এই রোগটি খুব একটা সিরিয়াস না, অধিকাংশ রোগী দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এই রোগটি হলে গায়ে একটু রেশ হয়, চুলকায়, পস্ক যেমন হয়, বসন্ত যেমন হয়, এরকম ফসকা হয়, পানি পানি হয়, দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে শুকায় যায়, সুস্থ হয়ে যায়। এটা কোনো ভয়ের কোনো কারণ নাই। তবে জনগণকে ঢিলেঢালা করা যাবে না, কেউ যদি কারো ক্ষেত্রে যদি এমন সন্দেহ হয় তাহলে পস্কের রোগীদের আমরা যেমন আলাদা করে রাখি, মশারি দিয়ে রাখি এ রকম আইসোলেশন করে রাখতে হবে। এটা শুধু তার জন্য নয় তার মাধ্যমে যেন অন্যজন আক্রান্ত না হয় সেজন্য। করোনার মতো জটিল না। করোনা হলে যেমন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, আইসিইউ লাগবে এ ধরনের কোনো কিছু দরকার হয় না। যেহেতু রোগটা সিরিয়াস না এক্ষেত্রে প্রতিকার ও প্রতিরোধই বড় ভূমিকা রাখবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭