ইনসাইড বাংলাদেশ

অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে যাওয়া চার মেয়েকে খুঁজছেন বাবা


প্রকাশ: 31/05/2022


Thumbnail

রাগের মাথায় মেয়েদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিলেন বাবা। বের হয়ে গেলে বাবা খুঁজতে যাবেন কিনা? জানতে চেয়েছিল বড় মেয়ে। জবাবে বাবার ‘না’ উত্তর পাওয়ার পর ছোট তিন বোনকে সঙ্গে নিয়ে বের হয়ে যায় তাসনিম জাহান। 

ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। চার দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়েদের খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাবা মজিবুল হক।

নিখোঁজ চার বোন হলো উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামের মজিবুল হকের বড় মেয়ে তাসনিম জাহান (১৭), মারজাহান (১৪), তাজিন সুলতানা (১২) ও মাইশা সুলতানা (৬)। তাসনিম উপজেলা সদরের আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষ, মারজাহান একই মাদ্রাসার দাখিল দশম শ্রেণী ও তাজিন সুলতানা ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাইশা নারুয়া তালিমুল কোরান মডেল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীতে পড়ে। মেয়েদের সন্ধান চেয়ে শনিবার রাতে থানায় জিডি করেছেন মজিবুল হক। তবে পুলিশ সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত কোন হদিস দিতে পারেনি। 

জানা গেছে, মজিবুল হক ১৮ বছর বিদেশ ছিলেন। দেশে ফেরার পর তিনি ব্যবসার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে ১২ লাখ টাকা দেন। কিন্তু যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁরা আর ফেরত দেননি। এ নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ ছাড়া তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের সমস্যায় ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর বোন ও ভাগনিদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বকাঝকা করতেন।

গত বুধবার (২৫ মে) মজিবুল মেয়েদের অনেক বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে তিনি তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় বড় মেয়ে তাসনিম জাহান বাড়ি থেকে চলে গেলে তাদের খুঁজবে কি না, বাবার কাছে জানতে চান। মজিবুল তাদের খুঁজবে না বলে জানান। পরে মারজাহান ও তাজিন সুলতানা বুধবার বিকেলে তাদের নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নারুয়া গ্রামে চলে আসে।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত চলছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭