ইনসাইড পলিটিক্স

ইভিএম বিতর্কে নির্বাচন বানচালে বিএনপির পায়চারি


প্রকাশ: 31/05/2022


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার বেড়েছে। যারা প্রযুক্তিকে গ্রহণ করেছে তারাই আজ বিশ্ব নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক সভ্যতার উন্নয়নের মূলে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। বাংলাদেশেও এর ছোঁয়া লেগেছে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এর ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। সব কিছু আধুনিকায়ন হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ পদ্ধতিতে আধুনিকায়ন করেছে। যুক্ত করেছে আধুনিক প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। দেশের প্রথিতযশা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বিরোধীতা করছে বিএনপি। এটিকে ক্রটিপূর্ণ বলে বয়কট করেছে দলটি।

বিএনপি ইভিএম কে ক্রটিপূর্ণ বললেও বিষয়টি সঙ্গে সহমত নয় দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ। বরং ভোট গ্রহণের ইভিএম এর ব্যবহারকে দেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে বলে মনে করছেন তারা। ইভিএম নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা নানা সময় নানান রকম ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। ইভিএম এর বিরোধিতা করে বিএনপি বলছে, ইভিএমে কারচুপির সুযোগ রয়েছে। তাদের দাবি, ইভিএমে যেভাবে প্রোগ্রামিং দেওয়া হবে সেভাবে কাজ করবে। কেউ যদি এটাকে অসৎ উপায়ে ব্যবহার করতে চায় তাহলে তা করতে পারবে। বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল রিজুর দাবি, ইভিএম তো হার্ডওয়ারের ব্যাপার না সফটওয়্যারের ব্যাপার। এখানে যেভাবে প্রোগ্রামিং দেওয়া হবে সেভাবে কাজ করবে। কিন্তু ইভিএম উদ্ভাবন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এই ডিভাইসগুলোর মধ্যে কোনো সফটওয়্যার নেই। এগুলো শুধুমাত্র ডেটা ফাইল। ডেটা ফাইলে সফটওয়্যার রাখা হয় না। বিএনপির অভিযোগ প্রমাণে তিনি চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন।

এদিকে সম্প্রতি ইভিএম ইস্যুতে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের মধ্যে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ। তারা ইভিএমের বিষয়টি দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন। অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, এটা অত্যন্ত চমৎকার মেশিন। এখানে ম্যানিপুলেশন (কারচুপি) করার জায়গা নেই। সর্বশেষ গতকাল (৩০ মে) নিবার্চন কমিশন সচিবালয়ে ইভিএম কিভাবে কাজে করে এবং নির্দিষ্ট বুথের ভোটার তথ্য কিভাবে ভোটিং মেশিন দেয়া হয়, সেটি হাতে কলমে দেখেছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা। ইভিএম মেশিনের কার্যকারিতা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা। এতো সব কিছুর পরও ইভিএম এর বিরোধীতা করছে বিএনপি।

বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ইভিএম ক্রটি ও প্রভাবমুক্ত নয় এর স্বপক্ষে কোনো কারিগরি প্রমাণ দিতে পারে নি বিএনপি। কিন্তু ইভিএম যে ক্রটি এবং প্রভাবমুক্ত তা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ বার বার প্রমাণ পেয়েছেন। ইভিএম সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ বলছে বিএনপি শুরু থেকে এর বিরোধীতা করছেন এবং নির্বাচনে পরাজয় হলে ইভিএমকে দুষছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন বিএনপি আসলে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায় না বা নির্বাচন করা তাদের লক্ষ্যও নয়। তাদের রাজনীতি হলো অরাজকতা, রক্তপাত আর লাশের রাজনীতি। যে কারণে তারা নির্বাচন মুখী না হয়ে বার বার ইভিএমকে দায়ী করে সহিংসতাকে বেছে নিয়েছেন। ইভিএমকে বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন যখন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ শুরু করছে বিএনপি তখন সারাদেশে সহিংসতা ছড়াছে। আর এর মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়চারিতে নেমেছে বিএনপি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭