ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র সাকিব আল হাসান


প্রকাশ: 02/06/2022


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পদচারণা অনেক বছরের, কিন্তু ক্রিকেটবিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি সাকিব আল হাসান। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি- তিনটি ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক ২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে। প্রথম ম্যাচে বল হাতে এলটন চিগুম্বুরার উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৩০ রান করে দলে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। সামর্থ্য প্রমাণ করে ধীরে ধীরে নিজেকে দলের অপরিহার্য সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী আইসিসি'র ওডিআই অল-রাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন সাকিব। তখন থেকেই শিরোনামে নিয়মিত আসতে থাকেন। কখনও নৈপুণ্যে আবারও কখনও ঝামেলায় জড়িয়ে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘রেকর্ডের রাজা’ সাকিব

সাকিবের ওয়ানডে রান ৬৭৫৫, টেস্ট রান ৪১১৩, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রান ১৯০৮। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার ৭৭৬ রানের মালিক সাকিব; যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ২২৪, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ওয়ানডে ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ২৮৫, দ্বিতীয় অবস্থান বাংলাদেশিদের মধ্যে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ১১৯, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয়।

টেস্টে সাকিবের অর্ধশতক ২৭, শতক ৫ ও ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রানের ইনিংস। সাকিবের ওয়ানডে ক্রিকেটে অর্ধশতক ৫০, শতক ৯টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অর্ধশতক ৯টি, ক্যারিয়ার সেরা রান ৮৪।

টেস্টে সাকিব চার উইকেট নিয়েছে ৮ বার, পাঁচ উইকেট নিয়েছে ১৮ বার, ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছে ২ বার। ওয়ানডে চার উইকেট নিয়েছে ৮ বার, পাঁচ উইকেট ২ বার। আর টি২০ ক্রিকেটে তিনবার চার উইকেট ও একবার নিয়েছে পাঁচ উইকেট।

টেস্টে সাকিবের ২১৭ বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর, ওয়ানডের অপরাজিত ১৩৪ দেশের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর। টি২০ ক্রিকেটের ৮৪ তৃতীয় সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর।

হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে সাকিবের অনন্য কিছু প্রাপ্তি রয়েছে। যেমন- সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার যার যেকোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। সাকিব একমাত্র ক্রিকেটার যার কিনা টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। সাকিব ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক ভেন্যুতে ৪০০০ আন্তর্জাতিক রান করে।

আইপিএলে পঞ্চম স্পিনার হিসেবে ৫০ উইকেট প্রাপ্তি, দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ৫০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি।

সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান দেশের মাটিতে ছয় হাজার রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৩০০ উইকেট শিকারের অনন্য রেকর্ড গড়েছেন

সাকিবের বিশ্বকাপ রেকর্ড

ক্রিকেট বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৪৫ গড়ে ১১৪৬ রান। ২টি শতক, ১০ অর্ধশতক; সর্বোচ্চ ১২৪*। চার ১০৭, ছয় ৮টি। ৩৫ গড়ে ৩৪ উইকেট। সেরা ফিগার ৫/২৯। ফিল্ডার সাকিবের ৮ ক্যাচ।

১১৪৬ রান করে সাকিব বিশ্বকাপ ইতিহাসের নবম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে ১৬তম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে মাত্র তিনজন স্পিনারের।

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাকিবের ৮ ম্যাচে ৮৬ গড়ে ৬০৬ রান। ২টি শতক, ৫টি অর্ধশতক, ৬০ চার, ২টি ছয়। সর্বোচ্চ ১২৪*। বল হাতে ৩৬ গড়ে ১১ উইকেট সেরা ৫/২৯। ফিল্ডার সাকিবের ৩ ক্যাচ।

সাকিব বিশ্বকাপ ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার যার বিশ্বকাপে ১১০০ রান ও ৩০ উইকেট রয়েছে। সাকিবের এই কীর্তিটা অনন্য। সাকিব ছাড়া অন্য কারো ৩০ উইকেটের সাথে ৭০০ রানও নেই। সাকিব যেখানে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

সাকিব ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র অলরাউন্ডার যে নির্দিষ্ট এক বিশ্বকাপে ৬০০’রও বেশি রান ও ১০টির’ও বেশি উইকেট নিয়েছে। সাকিব ছাড়া অন্য কারো ৪০০ রান, ১০ উইকেটও নেই।

প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট শিকার সাকিবের। যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে একই ম্যাচে ৫০ রান ও ৫ উইকেটের কৃতিত্ব সাকিবের। বিশ্বকাপে দুটি শতক করা ও দুবার চার বা এর অধিক উইকেট নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব। ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাকিব বল করেছে ১৪৩৩টি; এরমধ্যে ডট দিয়েছে ৬৭৯ বল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সাকিবের চেয়ে বেশি বল ডট দিয়েছে মাত্র দুজন বোলার।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাডবয়’ সাকিব

মাঠ ও মাঠের বাইরে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র সাকিব। সর্বাধিক সমালোচিতও বটে। ক্রিকেটীয় নিয়ম ভঙ্গ, দর্শক পেটানো, আম্পায়ারদের সাথে বসচা, সতীর্থ ও কোচের সাথে অসদাচরণ, বিতর্কিত মন্তব্য, কখনও বোর্ডের বিরূদ্ধাচরণ, ব্যবসা-বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ঘটনায় বারবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।

২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রায় চার বার দর্শকদের সাথে বাজে ব্যবহার ও হাতাহাতির ঘটনায় শিরোনাম হন সাকিব। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে চলাকালে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক দর্শককে পিটিয়ে আহত করেন সাকিব। একই বছর ২০ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআই চলাকালীন ড্রেসিংরুমে অশালীন অঙ্গভঙ্গির জন্য তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জাতীয় দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহার সাথে দুর্ব্যবহার, মাঠে অশোভন আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তাকে জাতীয় দল থেকে ৬ মাসের জন্য ও বাংলাদেশের বাইরের ক্লাব ক্রিকেটের জন্য ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষিদ্ধ করে। যদিও এই শাস্তি দেয়ার জন্য বোর্ডকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।

সাকিবের নাম জড়িয়েছে ফিক্সিং ইস্যুতেও। ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর জুয়াড়িদের কাছ থেকে একাধিকবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসি বা বিসিবিকে না জানানোর অভিযোগ এনে সকিবকে দুই বছরের জন্যে আইসিসি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাকিব ভুল স্বীকার করায় তা কমিয়ে এক বছর করা হয়। গত বছর জাতীয় দলের সাথে শ্রীলংকা সফরে না গিয়ে ভারতে আইপিএল খেলতে গিয়েও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব।

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জৈব সুরক্ষাবলয় ভঙ্গ করে আবার ক্ষমাও চান সাকিব। এছাড়া আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে কয়েক দফা বাজে আচরণের পর মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন ম্যাচ। জরিমানা গুনতে হয় পাঁচ লাখ টাকা।

‘অধিনায়ক’ সাকিবের পতন-উত্থান

অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের শুরু মাশরাফির ‘প্রক্সি’ হিসেবে। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে আশরাফুলকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া্ হয় মাশরাফিকে। সাকিবকে করা হয় সহ-অধিনায়ক। সে বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হাঁটুর ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে যান মাশরাফি। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সাকিব যেন নতুন রূপে জ্বলে ওঠেন। মাহমুদউল্লাহ্ ‘র সাথে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাকের নেতৃত্ব দেন সাকিব। দু'জন মিলে মোট ১৩টি উইকেট তুলে নিয়ে দেশকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়। দেশের বাইরে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।

আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরেও আহত মাশরাফির বদলে দায়িত্ব পান সাকিব। উদ্বোধনী খেলায় হারলেও সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায়  এবং ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়। নভেম্বর মাসে 'দ্য উইজডেন ক্রিকেটার্স' সাকিবকে 'বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার' ঘোষণা করে। পুরো বছর জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে সাকিব আইসিসি কর্তৃক 'টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, ২০০৯' ও 'ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার, ২০০৯' এর জন্য মনোনীত হন তাঁর অধিনায়ককালেই।

২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফর এবং ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে নেতৃত্ব দেন সাকিব। সিরিজে দল শোচনীয়ভাবে হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। একই বছর শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। এরপর ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের দেখা পেলেও ২-১এ সিরিজ হারে বাংলাদেশ। কিন্তু স্কটল্যান্ড সিরিজে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের সাথে হারার পর সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড সফরে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যান। ফলে আবারও নেতৃত্ব পান সাকিব। এই সিরিজে জ্বলে ওঠেন সাকিব। ব্যাট হাতে ২১৩ রান এবং বল হাতে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন। পাশাপাশি তার নেতৃত্বে ৪-০তে সিরিজ জিতে বিদেশের মাটিতে পূর্ণশক্তির কোন টেস্ট খেলুড়ে দলকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আসে জিম্বাবুয়ে। সাকিবের নেতৃত্বে ৩-১ এ সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এবারও সিরিজ সেরার পুরষ্কার ওঠে সাকিবের হাতে।

২০১১ সালে মাশরাফি দলে ফিরলে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান সাকিব। অধিনায়কত্ব থেকে মুক্তির পর, বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট এবং ওডিআইয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারী হন। এরপর, সাকিব বাংলাদেশের শীর্ষ রানকারী এবং উইকেট শিকারী হন দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সিরিজের ২য় টেস্টে তিনি প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে একটি শতক এবং একই টেস্টে ৫ উইকেট নেন। এই সিরিজের পর তিনি আইসিসির টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন।

২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার অবসরের পর সাকিব দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান। পরে মুশফিকুর রহিমকে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লে সাকিবকে পুনরায় টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়। ২০১৯ সালে সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পর টেস্ট অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় মুমিনুলকে।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ জুন, সাকিবকে আবারও টেস্ট দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় এবং সহ অধিনায়ক করা হয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে।

সাকিব এবং সমালোচনা একই মুদ্রার দুই পিঠ। মাঠ ও মাঠের বাইরে যেখানে সাকিব আছেন সেখানে আলোচনাও থাকবে। পারফরম্যান্স ও ব্যক্তিগত অর্জনে সাকিবের সমকক্ষ যেমন নেই, তেমনি কর্মকাণ্ড ও বিতর্কেও সাকিবের জুড়ি মেলা ভার!



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭