এডিটর’স মাইন্ড

আবার মাঠে ইউনূস?


প্রকাশ: 03/06/2022


Thumbnail

দীর্ঘদিন পর নীরবতা ভঙ্গ করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি তিনি তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ঠকানোর অভিযোগে যে মামলাগুলো ছিলো, সে মামলাগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করেছেন। প্রায় ৪৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে এই মামলাগুলো থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। এটি ইঙ্গিতবাহী। কোনো কোনো মহল মনে করছে যে, সরকারের সাথে হয়তো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি সমঝোতা হয়েছে এবং সেই সমঝোতার তার অংশ হিসেবেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মামলাগুলো থেকে পরিত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনি কাগজপত্রগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এটি সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক ছিলো না। বিভিন্ন কর্মচারীদের বেতন না দেওয়া, বোনাস না দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছিল এবং এই মামলাগুলোতে ড. ইউনূস দোষী প্রমাণিত হতেন, এটা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলো। আর এ কারণেই তাঁর পক্ষ থেকে এই টাকাগুলো পরিশোধ করা হয়েছে, যেটি মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি নিতে সাহায্য করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে যে, মামলা থেকে নিজেকে অব্যাহতি নেওয়া ড. ইউনূসের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক অভিলাষের একটি লক্ষণ। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাধারণ অধিবেশনের আগেই ড. মুহাম্মদ ইউনুস একটি প্রবন্ধ লিখেছেন এবং এই প্রবন্ধতে তিনি প্যাটেন্ট-মুক্ত ওষুধ উৎপাদনের কথা বলেছেন, সামাজিক ব্যবসা মডেল অনুসরণের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন। অনেকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এরকম একটি প্রবন্ধ লিখে জনগণের সামনে এলেন। এইসব ঘটনাগুলো থেকে অনেকেই মনে করছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কি আবার সরব হচ্ছেন? তিনি কি আবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠছেন? দুটি ঘটনা আপাত বিচ্ছিন্ন হলেও এর মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

বিশেষ করে শ্রম আদালতের মামলাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার মধ্যে দিয়ে ড. ইউনূস আইনি প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে মুক্ত করলেন। এর ফলে তার যদি ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ থাকে সেটির ক্ষেত্রে আইন কোনো বাধা হবে না বা ভবিষ্যতে তিনি কোন কিছু করতে চাইলে তিনি শ্রমিক ঠকানোর অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করে রাখলেন। আর দ্বিতীয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পর্কে যে নিবন্ধ সেই নিবন্ধটির মধ্য দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। তবে অনেকেই মনে করেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তিনি সামাজিক ব্যবসার মডেলের দ্বিতীয় নোবেলের জন্য চেষ্টা তদবির করছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে লবিংও করছেন। সেই নোবেল প্রাপ্তির জন্য এই মামলাগুলোর দায় থেকে তার মুক্তিটা ছিলো অত্যন্ত জরুরি। আর সেই দ্বিতীয় নোবেল পাওয়ার জন্যই তিনি হয়তো এখন সরব হয়েছেন। তবে বাংলাদেশে যখনই রাজনৈতিকভাবে নানারকম ষড়যন্ত্র হয়, তখনই ড. ইউনূস একটু নড়েচড়ে বসেন, পর্দার আড়াল থেকে সামনে আসেন। এই কারণেই ড. ইউনূস যখন সরব হন তখন অনেকের সংশয় জাগে দেশে কি হচ্ছে, এ নিয়ে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭