প্রেস ইনসাইড

মাহফুজ আনামের কলাম: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলোর পর্যালোচনা


প্রকাশ: 04/06/2022


Thumbnail

মাহফুজ আনাম। ডেইলি স্টারের সম্পাদক এবং বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবেও তিনি অত্যাধিক পরিচিত। রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে সুশীল সরকারের পক্ষে তিনি সবসময় সোচ্চার। সবসময় তিনি মার্কিনপন্থী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু গত শুক্রবার (০৩ জুন) ডেইলি স্টারে তার নিজের নামে লেখা সম্পাদকীয়তে তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী অবস্থানের সমালোচনা করেছে। 'রিডিং ইনটু দ্যা রিসেন্ট স্পিসেস অব দ্যা ইউএস অ্যাম্বেসেডর' এই শিরোনামে মাহফুজ আনামের লেখাটি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছে। আর এই লেখাটি নিয়ে এখন সারাদেশে আলোচনা চলছে। পাঠকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মাহফুজ আনামের 'রিডিং ইনটু দ্যা রিসেন্ট স্পিসেস অব দ্যা ইউএস অ্যাম্বেসেডর' শিরোনামের লেখাটির বাংলা অনুবাদ হুবহু তুলে ধরা হলো।

একটা সময় ছিল যখন মার্কিন সরকার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হেন কোনো পন্থা নেই যা অবলম্বন করেনি। বছরের পর বছর ধরে, সেই সরকারের বিরুদ্ধে জঘন্য প্রচারণা চালানো হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংযোগগুলি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল, যে দেশগুলি ভেনেজুয়েলার তেল কিনবে তাদেরকে কিছু কঠিন পরিণতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে অন্যদের সাথে ভেনেজুয়েলাকে বিচ্ছিন্ন করার একটি প্রচারণা শুরু হয়েছিল। এর পরপরই সবচেয়ে বিতর্কিত কূটনৈতিক পদক্ষেপটি নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলার বৈধ সরকার হিসাবে স্বল্প পরিচিত এবং অনভিজ্ঞ বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোর গঠিত একটি বিকল্প সরকারকে মাদুরোর বিপরীতে স্বীকৃতি দিয়েছিল আমেরিকা। ২০২২ সালের ১৭ মে ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদুরো সরকারের সাথে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পূর্বের নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করবে এবং শেভরনকে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস কোম্পানির (Petróleos de Venezuela, South America) সাথে লেনদেনের অনুমতি দেবে। স্পষ্টতই ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করার জন্য আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মার্কিন সরকারের নিজস্ব স্বার্থে কী নীতি অনুসরণ করা উচিত সে সম্পর্কে মন্তব্য করা আমাদের কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। মার্কিনরা নিজেরাই নিজেদের নীতি নির্ধারক এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য যথাযথ সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃত্ব তাদের রয়েছে। তাহলে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন নিজেদের ব্যাপারে একই পন্থা অবলম্বন করে, তখন কেন মার্কিনীরা সেটা মেনে নিতে পারে না এবং অন্য দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করে?

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের’ (ডিসিএবি) সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়গুলিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটা নিয়ে কোনো অজুহাত দেই না।" তিনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো এই নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অজুহাত গ্রহণ করবে না। এইক্ষেত্রে মার্কিনীদের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরব এবং ন্যাটো সদস্য তুরস্কের মানবাধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পর্কে কী বলা যায়?

যখনই কেউ জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ইতিবাচক কথা বলে, আমরা সাংবাদিকরা উল্লাস করি। তাই বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি মার্কিন সমর্থন আমাদের কানে আনন্দধারার মত প্রবাহিত হয়। যাইহোক, আমরা এও ভুলে যেতে পারি না যে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী থাকাকালীন আমেরিকান টিভি শো ‘সিক্সটি মিনিটে’ স্কট পেলির সাথে একটি সাক্ষাত্কারে মন্তব্য করেছিলেন, "আমার পরিচিত সবচেয়ে খারাপ লোকদের মধ্যে বেশিরভাগই সাংবাদিক।" রাষ্ট্রপতি হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ মাধ্যমকে "আমেরিকান জনগণের শত্রু" বলে অভিহিত করে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প।

তিনি আমেরিকার ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধুমাত্র ফক্স নিউজ বাদে মার্কিন প্রতিটি স্বাধীন মিডিয়াকে নিপীড়ন করেছিলেন। ট্রাম্পের শাসনামলে অন্য সমস্ত বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী মার্কিন মিডিয়া আউটলেটগুলোর তুলনায় ফক্স নিউজ সবচেয়ে ঘৃণ্য, বর্ণবাদমূলক, বিভক্তিকর এবং ভুল তথ্য প্রচার করত। সুতরাং, আমরা মনে করি এটি জিজ্ঞাসা করা ন্যায্য হবে যে, যদি মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস বর্তমান প্রসিডেন্ট বাইডেনের না হয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করতেন তাহলেও কি তিনি একই বক্তব্য দিতেন? আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং, যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন (আল্লাহ্ মাফ করুন) তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি স্বাধীন সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে একই নীতি অনুসরণ করবে? আমরা কি বিশ্বাস করব যে বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থন করা বাইডেন প্রশাসনের নীতি হোয়াইট হাউসে ক্ষমতা রদবদলের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে? আমরা কি আমাদের অভ্যন্তরীণ নীতিগুলি আবার সেইসব দিনের মার্কিন প্রশাসনের সাথে মানানসই করার আশা করি?

যেকোন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে আমরা অবশ্যই সেটি চাইবো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই বিষয়ে একমত জেনে আমরা আনন্দিত। কিন্তু একটি নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে এবং কিসের ভিত্তিতে তা বিচার করবে?

মার্কিন মিডিয়া অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরেও রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বিশ্বাস করে তাদেরকে জোচ্চুরি করে নির্বাচনে হারানো হয়েছে। এমনকি গত মার্কিন নির্বাচনের সত্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আদালতের বেশ কয়েকবার রায় ঘোষণার পরেও রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশ এখনও বিশ্বাস করে যে, গত নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পই নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু তাকে ভোট কারচুপি করে হারানো হয়েছে। সুতরাং, ধরা যাক, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরে যদি পরাজিত দল দাবি করে যে তাদের কাছ থেকে নির্বাচন চুরি হয়েছে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত হাস কিভাবে এই প্রচারণা ব্যাখ্যা করবেন?

আমি খুব মনোযোগ সহকারে গত ৩১ মার্চ, ২৪ এপ্রিল; ১০, ২৪ মে এবং ৩১ তারিখে দেওয়া রাষ্ট্রদূত হাসের সাম্প্রতিক বক্তৃতাগুলি পড়েছি এবং নতুন করে চিন্তা করার মতো অনেক কিছু পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-কৌশলগত চিন্তাভাবনাগুলো বাংলাদেশের জন্য কেমন হতে পারে তার একটা প্রমাণ পাওয়া যায় গত ৩১ মার্চ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)এ অনুষ্ঠিত "মুভিং ফরওয়ার্ড ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক" শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পিটার হাসের বক্তৃতায়। রাষ্ট্রদূত হাস "স্বাধীন এবং উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিস্থাপক" এই পাঁচটি উপাদানকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন নীতির মূল উপাদান হিসাবে উচ্চারণ করেছেন; এই মূল উপাদানগুলির সাথে আমাদের কোনো দ্বিমত এবং সমস্যা নেই। কিন্তু হাসের এই বিশদ বিবরণের মধ্যেই আসল গল্পটি নিহিত রয়েছে। যখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বললেন, "ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনগণও গণতন্ত্র চায় এবং তাদের মানবাধিকারকে সুরক্ষিত করতে ও সম্মান জানাতে চায়" এবং যখন তিনি আরও বলেন, "আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করব... এখানে হুমকি প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। আমাদের নিরাপত্তা পদ্ধতিও অবশ্যই এই হুমকির বিপরীতেই বিকশিত হবে," তিনি আসলে কোন দেশের কথা বলছেন তা আমাদের বুঝতে মোটেই সমস্যা হবে না। যাই হোক না কেন, গরীবের ঘরের সেই হাতিটি যে চীন, তা বুঝতে খুব সহজ সরল মানুষেরও সমস্যা হবার কথা না।

১৯৭১ সালে চীনের সাথে সমঝোতার পর থেকে, মার্কিন-চীন সম্পর্ক বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে এবং বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের দারিদ্র্যের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে ও বৈশ্বিক সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। চীনের মুক্ত বাজার অর্থনীতি অনুসরণ এবং তাদের দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য বিদেশী বিনিয়োগের অনুমোদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেবেছিল যে, হয়তো পরবর্তীকালে সময়ের সাথে সাথে চীন তার কেন্দ্রীভূত অর্থনৈতিক কাঠামোকে শিথিল করবে এবং তারাও পশ্চিমা পুঁজিবাদী বিশ্বের একটি অংশ হয়ে উঠবে। কিন্তু আদোতে তা বাস্তবায়িত হয় নি বরং চীনের অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী, প্রযুক্তিগতভাবে আরও দক্ষ ও সমৃদ্ধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), বায়োটেকনোলজি ইত্যাদিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতির ফলে ভীত হয়ে- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা শুরু করে এবং এখন তারা বিশ্বব্যাপী চীনের আঞ্চলিক অবস্থান ও গ্রহনযোগ্যতা নষ্ট করতে তৎপরতা শুরু করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের চীন বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গিকে প্ররোচিত করে একত্রিত করার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি প্রদান করে। রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণ আমেরিকার চীন-রাশিয়া বিরোধী কার্যক্রমকে আরও তরান্বিত করেছে।

এই দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং বিপজ্জনকভাবে চলিত  বিশ্বে বাংলাদেশকে অবশ্যই দক্ষতার সাথে নিজেদের চালনা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীনা বিনিয়োগের অনুমতি দিয়ে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এই নীতি আমাদের ব্যাপকভাবে উপকৃত করেছে। ভারতের নিজস্ব সমস্যা সত্ত্বেও তারা বহিরাগত শক্তিকে চীনের সাথে তাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে দেয়নি। চীন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২১ সালে ৪৩.৩ শতাংশ বেড়ে ১২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

যাইহোক, এটি প্রতীয়মান যে, আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলাদেশে আমাদের জন্য গভীর প্রভাব ফেলছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্কের উন্নতির সমস্ত সম্ভাবনাকে স্বাগত জানাই এবং আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত সম্ভাবনার দুয়ার অন্বেষণ ও উন্মোচন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যাইহোক, এশিয়া এবং এশিয়ার বাইরের অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রটি কেমন এবং সেখানে কি কি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে সে সম্পর্কে বাংলাদেশের খুব সচেতন হওয়া উচিত। এই সূত্রে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেমনটি বলেছেন, "এশীয় দেশগুলির অভিন্ন উন্নয়ন কাঠামো এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং সেগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা উচিত," - হ্যাঁ বিভক্তভাবে নয়, বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এশিয়ার জন্য সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।

অনুবাদ করেছেন - অরুণাভ বিলে


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭