ইনসাইড বাংলাদেশ

সীতাকুণ্ডের ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?


প্রকাশ: 05/06/2022


Thumbnail

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু। আহত অনেকের অবস্থাই গুরুতর। সে কারণে মৃতের সংখ্যা যে আরও বড়বে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এছাড়াও শনিবার রাতে লাগা আগুন এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিকের কারণে। সে কারণেও উদ্ধার অভিযান শেষ হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পরপরই বের করে আনা হচ্ছে মরদেহ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের আকাশ-বাতাস। খালি চোখে এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হলেও এই দুর্ঘটার কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। অনেকে বলছেন, এরকম একটি সুরক্ষিত জায়গায় হঠাৎ করে এই ধরনের আগুন লাগার ঘটনা কিছুটা হলেও জনমনে সন্দেহ তৈরি করছে। এ কারনে অনেকের মধ্যে একটি প্রশ্ন ঘুরেফিরেই আসছে যে, সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর এই ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি কোনো নাশকতা?



আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে ১৩ বছরেরও বেশি সময়। এই সময়ে দেখা গিয়েছে যখনই কোনো ভালো কিছু করতে গিয়েছে এই সরকার তখনই কোনো না কোনো ভাবে সেটাকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য একটি মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। যেমন পদ্মা সেতু তৈরির শুরু হওয়ার আগেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফলে পদ্মা সেতু তৈরিই হুমকির মুখে পড়ে যায়। এই কারণে প্রায় ২ বছর পদ্মা সেতুর কাজও বন্ধ রাখা হয়। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয় যে, দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছিল সেটি মিথ্যা। এরপর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে চাইলেই বাংলাদেশ নিজ অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। আজ পদ্মা সেতু আর কল্পনা নয়, বাস্তব। আগামী ২৫ জুন এই সেতুর উদ্বোধন হবে। ফলে এই সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে একটি নাশকতার ছক হচ্ছে এটি অনেক আগে থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিলো। সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর এই ঘটনা সেই নাশকতারই বাস্তবায়ন কিনা সেটি নিয়েই এখন জল্পনা-কল্পনা চলছে।



অনেকে মনে করছেন, পদ্মার সেতু দেশের মানুষের একটি গৌরবের বিষয়। দেশের মানুষের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে ভেঙ্গে দিতে বিভিন্ন সময় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকে পূরণ করে দেখিয়েছেন। যখন ষড়যন্ত্র করেও পদ্মা সেতু তৈরি আটকানো যায়নি, তখন সেটির উদ্বোধনকে কিভাবে ভেস্তে দেওয়া যায় তার একটি পরিকল্পনা চালাচ্ছে সেই মহল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সীতাকুণ্ডের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। 



বিশ্লেষকদের মতে, আগামী ২৫ জুন পদ্মার সেতুর উদ্বোধন। এই উদ্বোধনকে ঘিরে পুরো জাতি একটি উৎসবের আমেজে সেজেছিল। এর আগেই এই ধরনের একটি বড় ঘটনায় জাতি মর্মাহত। এই অবস্থায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খুশিতে যে অনেকটা ভাটা পড়লো এটা বলাই যায়। আর এমনটিই চেয়েছিল নাশকতাকারীরা। যাতে করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে যে কোনো ভাবে ভেস্তে দেওয়া যায়। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। তবে সবই বোঝা যাবে এই অগ্নিকাণ্ড কিভাবে হলো তার উপর। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তারাই এই বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন। তবে এটা বলাই যায় যে, এই ঘটনা দেশের মানুষকে শোকগ্রস্ত করেছে এবং পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খুশিকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭