মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এমনিতেই বিশ্ববাজারে জ্বালানী থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যর যোগান ও দাম নিয়ে অস্থিরতা চলছিলো গত দুই বছর ধরেই। এর মাঝে বছরের শুরুতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে প্রতিবেশী রাশিয়া।
বিশ্ববাজারে জ্বালানী ও খাদ্যপণ্যর অন্যতম যোগানদার রাশিয়ার এহেন আগ্রাসনে দেশটির উপর পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় অস্থির হয়ে উঠে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য। বর্তমান সময়ে তেলের বাজারে কিছুটা স্থবিরতা আসলেও তেলের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা সৌদি আরবের ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ানোর ঘোষণায় আবারো বেড়ে গেছে তেলের মূল্য। সোমবার (৬ জুন) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যদিও তেল রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক গত সপ্তাহে আগামী দুই মাসের মধ্যে তেলের উৎপাদন বাড়ানো ঘোষণা দেয়। তবুও সৌদি আরবের তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা এবং রাশিয়ার উপর পশ্চিমাদের তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় তেলের বাজারে যে সহসাই অস্থিরতা হ্রাস পাচ্ছে না তা বলা যায় চোখ বন্ধ রেখেই।
জানা গেছে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৯১ সেন্টস বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেড়ে ১২০ দশমিক ৬৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুড তেলের দাম ৯৩ সেন্টস বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেড়ে ১১৯ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সৌদি আরব এশিয়ায় আরব লাইট ক্রুডের অফিশিয়াল বিক্রয় মূল্য জুনে চার দশমিক ৪০ ডলার প্রিমিয়াম থেকে বাড়িয়ে ছয় দশমিক ৫০ ডলার প্রিমিয়াম করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি আরামকো এ তথ্য জানিয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ওপেক দৈনিক উৎপাদন ছয় লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল বাড়ানোর কথা জানিয়েছে, যা আগের পরিকল্পনার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
এদিকে ইরাকও তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি জুলাইতে দৈনিক চার লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উৎপাদন করবে।
তাছাড়া ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দুইটি কোম্পানিকে ভেনেজুয়েলার তেল ইউরোপে সরবরাহের অনুমোদন দেবে দেশটি। জানা গেছে, ইতালীয় তেল কোম্পানি এনি এসপিএ ও স্পেনের রেপসোল এসএ আগামী মাসের মধ্যেই ভেনেজুয়েলার তেল ইউরোপে পাঠানো শুরু করতে পারে।