ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে চারটি সিনেমা মুক্তি পায়। তার মধ্যে তিনটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে সক্ষম হয়। সিনেমাগুলো দিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে প্রেক্ষাগৃহগুলো। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে আসে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চলতি জুনে ছয়টি সিনেমা মুক্তির পথে আছে।
তবে জুনের প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া অঞ্জন আইচ পরিচালিত সাইকো-থ্রিলার গল্পের সিনেমা ‘আগামীকাল’ দর্শক টানতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
দেশের সব থেকে বড় প্রেক্ষাগৃহ ‘মণিহার’র কর্ণধার জিয়াউল ইসলাম মিঠু অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সিনেমাটি দেখতে মোটেই দর্শক আসছেন না। যে রকম দর্শক প্রত্যাশা করেছি, সে রকম দর্শক টানছে না। অনেক দর্শক কম। বড়জোর ১০ জন দর্শক হচ্ছে। মুক্তির প্রথম দুই দিন ৩০ জনের মতো দর্শক হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে দর্শক কমতে শুরু করে। প্রতিদিন চারটি শো প্রদর্শিত হচ্ছে। সবগুলো শোর একই হাল। সকালের দুটি শোতে চার-পাঁচ জন দর্শক হলেও বাকি শো দুটিতে আরও খারাপ অবস্থা হয়।
এ ধরনের সিনেমা সাধারণত চালাতে চাই না। তারপরও চালাতে হয়। কারণ, ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বাধ্য করা হয়েছে ‘আগামীকাল’ চালাতে। মূলত, ‘আগামীকাল’ টেলিফিল্ম। অনেক সময় অনুরোধ ও চাপে চালাতে হয়। সেটি রাজনৈতিক বা অন্য চাপও হতে পারে। এই কারণে সিনেমাটি চালাতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে এর বেশি কথা বলতে অপারগতা জানান মিঠু।
এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালক অঞ্জন আইচের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। প্রেক্ষাগৃহের মুক্তির ব্যাপারটি ডিস্ট্রিবিউটার করেছে। এমন কিছু হয়নি। হলে আমি জানতাম।
চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, জাকিয়া বারী মম ও সূচনা আজাদ অভিনীত সিনেমাটি ৩ জুন হতে দেশের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে। তবে একাধিক ইস্যুতে সিনেমাটির প্রচারণায় অংশ নেননি নায়িকা মম।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে ‘আগামীকাল’ নির্মাণের কাজ শুরু করেন অঞ্জন আইচ। এরপর নানা কারণে সিনেমা মুক্তি পায়নি। অবশেষে সিনেমাটি আলোর মুখ দেখেছে।
সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন টুটুল চৌধুরী, শতাব্দী ওয়াদুদ, ফারুক আহমেদ, আশীষ খন্দকার, সাবেরী আলম, তারেক স্বপন প্রমুখ। সিনেমাটি পরিবেশনা করছে দ্য অভি কথাচিত্র ও ডিজিটাল পার্টনার টাইগার মিডিয়া।