ইনসাইড টক

‘শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছে’


প্রকাশ: 11/06/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছে। শেখ হাসিনা মুক্তি পেয়েছেন বলেই বাংলাদেশে সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে এবং জনগণ তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মতামত দিতে পেরেছে। শেখ হাসিনার মুক্তি নয়, এটি বাঙ্গালীর গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছে। শেখ হাসিনা হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক, এটি প্রমাণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া থেকে খালেদা জিয়া, যারা ২৮ বছর ছিলো তাঁরা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশকে তাঁরা জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ বানিয়েছিল, সন্ত্রাসের বাংলাদেশ বানিয়েছিল, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল, দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ বানিয়েছিল। সেই বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস, অগ্নিকাণ্ডসহ দেশে বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

এস এম কামাল হোসেন বলেন,  জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে, তাতে আজকে প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে রাখা মানে বাংলাদেশকে গ্রেফতার করা, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা, গণতন্ত্রকে বন্দী করে রাখা। আজকে হচ্ছে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস, গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছিল বলেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আজকে পদ্মা সেতু হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, সমুদ্র বিজয় হয়েছে, পারমানবিক বিশ্বে প্রবেশ করেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাচ্ছে, বয়স্করা-বিধবারা ভাতা পাচ্ছে, বৈশ্বিক মহামারিতে শেখ হাসিনার সততা এবং সাহসিকতার কারণে আজকে মানুষ বিনামূল্যের ভ্যাকসিন পেয়েছে। এগুলো শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই হয়েছে এবং শেখ হাসিনা সেদিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলেই, গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছিল বলেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ।

অগ্নিকাণ্ডসহ দেশে বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা কি কেবল দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, এমন প্রশ্নে এস এম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য কর্মসূচী দিলেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো ১৭৩ ডলার। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। এই সময়ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যেন বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে না পারে, সেজন্য সেই সময় একটা অংশ মুসলিম বাংলার স্লোগান দিয়েছে, বাসে আগুন দিয়েছে, থানা লুট করেছে, রেললাইন উপড়ে ফেলেছে। তাঁরা ছিলো যুদ্ধাপরাধী পরাজিত মুসলিম দাঙ্গার অতি বিপ্লবী। আজ বিএনপির নেতৃত্বে সেই শক্তি বারবার ষড়যন্ত্র করছে। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন, পরবর্তীতে হেফাজতকে দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে, তারপর দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হেফাজতকে মাঠে নামিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে, বিএনপি বারবার এই ষড়যন্ত্র করেছে।

তিনি আরও বলেন, এই পদ্মা সেতু আজকে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক, বাংলাদেশের সততা-উন্নয়নের প্রতীক পদ্মা সেতু। কারণ, পদ্মা সেতুকে ঘিরে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছিল। পদ্মা সেতুর নামের যে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তা কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিলো। তাই আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে দুর্নীতিবাজ, মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সত্যের প্রতীক। শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। পদ্মা সেতুর উৎসব যেন উৎসবমুখর না হয়, সেই আনন্দকে ম্রিয়মাণ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পনায় লিপ্ত। বিএনপি-জামায়াত এবং অতি বিপ্লবীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাশকতামূলক কাজ করার চেষ্টা করছে। আমরা অনুরোধ করবো জনগণকে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। পদ্মা সেতুর উৎসবকে ম্লান করার জন্য আজকে এই ষড়যন্ত্র হচ্ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭