ইনসাইড পলিটিক্স

‘শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে’


প্রকাশ: 12/06/2022


Thumbnail

১১ জুন শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্যদিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সেই দিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলেই আমরা একটা দেশপ্রেমী সরকার পেয়েছি। 

রোববার (১২ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের একমাত্র দেশপ্রেমী সরকার। কিন্তু আজো একটা সুযোগ সন্ধানী মহল এবং বিএনপি তাদের সংকীর্ণ, আত্মকেন্দ্রিক ও পশ্চাদপদ রাজনীতির কারণে আমাদের দেশপ্রেমী সরকারকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। 

তিনি বলেন, বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। সেই থেকেই তিনি আমাদের গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা, মাদার অব হিউম্যানিটি, জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত জোটের অপশাসনের কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনানিয়ন্ত্রিত ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলো বিএনপি, জনগণের অধিকার হরণ করলো বিএনপি আর তথাকথিত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হলো ইয়াজ উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই। আর বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ৫৮ দিন পর ৩ সেপ্টেম্বর। ৫৮ দিন পর খালেদা জিয়াকে বাধ্য হয়ে গ্রেফতার করেছিল। কারণ শেখ হাসিনাকে মুক্তির দাবিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। ঢাকা শহরের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর করে। ১/১১ ছিল একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আসলে শেখ হাসিনাকে হটানোর প্রয়াস ছিল সেটা (এক ঢিলে দুই পাখি)। খালেদা জিয়াকে হটাবার যথেষ্ট কারণ খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তৈরি করেছিল তাদের পাঁচ বছরের শাসনামলে। কিন্তু আমাদের নেত্রীকে গ্রেফতারের কোন কারণ বা ক্ষেত্র ছিল না। 

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হয়েছিল ভিন্ন কারণে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, তিনি একজন দেশপ্রেমী নেত্রী এবং তিনি পশ্চিমা শাসকদের রক্তচক্ষু ভয় করেন না। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য হাজির করা হয় ‘মাইনাস টু ফর্মূলা। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আমি গর্ব করে বলতে পারি যে, যুবলীগের নেতাকর্মীরা তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সাহসী এবং বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা যখন বিদেশে ছিলেন তখনও সংগ্রাম করেছেন। দেশের মধ্যে সেই কৈশোর থেকেই নানা আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে এই দেশের প্রধান নেত্রী হিসেবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজকেও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রকে নিষ্কণ্টক করতে। স্বাধীনতাবিরোধী সেই একই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। 

যুবলীগের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা একাত্তর, পঁচাত্তরের হত্যাকারী, ২০০১-২০০৬ সালের হত্যাকারী সেই হত্যাকারীরাই আবার আস্ফালন করছে। এই বাংলাদেশ বহু শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশ। তাদের রক্তে এই মাটি পবিত্র হয়েছে। এই পবিত্র মাটিতে ঘাতক ও ষড়যন্ত্রকারীর কোন স্থান হতে পারে না। অতএব, সকল ষড়যন্ত্রকারী ঘাতককে এই পবিত্র মাটি থেকে সমূলে উৎখাত করার জন্য আওয়ামী যুবলীগসহ সকল।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭