ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুবাইয়ে কালোটাকার প্রাচুর্য বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দাবি


প্রকাশ: 13/06/2022


Thumbnail

রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এর পরপরই বেশ কিছু রুশ ধনকুবের সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে সম্পত্তি কিনতে শুরু করেন। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় পড়া রাশিয়ার অভিজাত ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের লক্ষ্য হিসেবে দুবাইকে বেছে নিয়েছেন। 

এসব রুশ ধনকুবেররা তাদের বিপুল অর্থ দেশটিতে ঢুকালেও তা ঠেকাতে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাণিজ্য সাময়িকী বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সাময়িকীটির একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাপক হারে কালোটাকা ঢুকেছে মধ্যপ্রাচ্যর প্রভাবশালী দেশটিতে বিশেষকরে দুবাই শহরে। আর এতে দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পশ্চিমাদের আর্থিক খাতের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দিন দিন আরো বেশি করে জোরালো হচ্ছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে অনেক রুশ ধনকুবের তাঁদের ব্যক্তিগত বিমান ও ইয়ট দুবাইয়ের মতো নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত রুশ অলিগার্কদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে খবর চাউর হয়। 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক ও কালোটাকার বিরুদ্ধে সোচ্চার বিল ব্রাউডার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য অবজারভারকে বলেন, দুবাই দীর্ঘদিন ধরে কালোটাকার জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশটিকে এখন আর্থিক কালো তালিকায় রাখা উচিত এবং এর নেতাদের যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানানো উচিত হবে না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো রাজনীতিবিদ এবং দুর্নীতিবিরোধী কর্মীদের ক্রমবর্ধমান তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছেন ব্রাউডার। গত মাসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি দল ইউরোপিয়ান কমিশনার মেইরেড ম্যাকগিনেস বরাবর একটি খোলা চিঠি দেয়। তাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

ওই খোলা চিঠিতে সই করা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য কিরা পিটার-হ্যানসেন গত ১১ মে এক টুইটে বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থ পাচারের তালিকায় আসতে দুবাইয়ের আর কত কেলেঙ্কারি লাগবে?

চিঠিতে বলা হয়, এটা স্পষ্ট যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বড় মাত্রায় অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা মেনে নেওয়া যায় না।

বিশ্বব্যাপী আর্থিক অপরাধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স গত মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ‘গ্রে’ তালিকায় রেখেছে। গত মে মাসে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিআরপি) ফাঁস হওয়া তথ্যে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিরা দুবাইয়ে কী পরিমাণ অর্থ ঢুকিয়েছেন, তা বেরিয়ে এসেছে। বিশেষ করে দেশটির আবাসন খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এ বিষয়ে দুবাই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েও পায়নি বিজনেস ইনসাইডার।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭