রোনালদোকে যে ‘স্বজন’ উপহার দিয়েছে ফুটবল

ফুটবল তো কত কিছুই দেয়। যশ, খ্যাতি, শিরোপা এমনকি পরিবার। প্রণয় থেকে পরিণয়, গুরু-শিষ্যের ভাব-ভালোবাসা, বন্ধুত্বের আলিঙ্গন। কিন্তু ‘সহোদর’ হতে পেরেছেন কতজন?

সেই ‘ভাই’কেই বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিলেন সময়ের সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর সেই ‘ভাই’ মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাক রিয়াল ছাড়ার পর তাঁকে আবেগতাড়িত ভাষায় বিদায়ী শুভেচ্ছায় ‘ভাই’ ডেকে বিশ্বের কাছে নিজেদের নতুন পরিচয় তুলে ধরলেন এই পর্তুগীজ তারকা। 

২০০৯ থেকে ২০১৮। দীর্ঘ সময় মাঠ ও ড্রেসিংরুমে মার্সেলোর সাথে ভালমন্দ সময় কাটিয়েছেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের দিনগুলিতে মাঠে তাঁরা ছিলেন দুর্দান্ত জুটি। তাঁদের একজন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছেন চার বছর আগেই। আরেকজন আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল ছাড়লেন কাল। ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাক কাল রিয়াল ছাড়ার পর তাঁকে আবেগতাড়িত ভাষায় বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।

দীর্ঘ নয় বছর রোনালদোর সঙ্গে রিয়ালের আক্রমণভাগে বহু স্মরণীয় মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন মার্সেলো। দলের হয়ে রোনালদোর অনেক গোলের উৎসও তিনি। পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে মাঠের বাইরের বন্ধুত্বটাও গড়িয়েছে পরিবার পর্যন্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত রাতে রোনালদো একটি পোস্ট করেন মার্সেলোকে নিয়ে। রিয়ালের জার্সিতে দুজনের সাদাকালো ছবি।

ছবির ক্যাপশনে রোনালদো লিখেছেন, “সতীর্থের চেয়েও বেশি কিছু, ফুটবল থেকে পাওয়া আমার ভাই। মাঠ ও মাঠের বাইরে সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা, যার সঙ্গে আমি আনন্দে ড্রেসিংরুম ভাগ করতে পারি। নতুন রোমাঞ্চে নিজের সবকিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো, মার্সেলো!”

২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান রোনালদো। এর মধ্য দিয়ে রিয়ালে রোনালদোর সঙ্গে মার্সেলোর মাঠের জুটি ভেঙে যায়। রিয়ালের হয়ে জেতা পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফির চারটিই রোনালদোর সঙ্গে জিতেছেন মার্সেলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুজনের যোগাযোগটা নিয়মিত। এবার রিয়াল লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর মৌসুম শেষে ব্রাজিলিয়ান তারকার চুক্তির মেয়াদও ফুরোয়। 

রিয়াল নতুন চুক্তিতে রাজি না হওয়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালই হয় ক্লাবটির হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ। কাল রিয়ালে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মার্সেলো জানিয়েছেন, এখনই ইউরোপ ছাড়ার ইচ্ছে তাঁর নেই।