ইনসাইড বাংলাদেশ

তালগোল পাকিয়েছেন হিসাববিদ অর্থমন্ত্রী


প্রকাশ: 17/06/2022


Thumbnail

আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের অর্থমন্ত্রী। ১৯৭০ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে (পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান) চার্টার্ড একাউনটেন্সি (সিএ) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সম্মিলিতভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। একজন হিসাববিজ্ঞানী। কিন্তু দেশের অর্থনীতিতে তালগোল পাকিয়েছেন, বির্তক তৈরি করেছেন তিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়ার কথা। তিনি বলেছেন, কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ। পাচার হওয়া টাকাকে তিনি অবৈধ না বলে অপ্রদর্শিত হিসেবে দেখেন এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার মাধ্যমে বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধি করতে চান। এনিয়ে তুমুল বির্তক আর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অর্থমন্ত্রীকে সংসদে এবং সংসদের বাইরে। 

এই বির্তকে আগুন নিভতে না নিভতেই আরেক বির্তকে উসকে দিলেন তিনি। গত ১৫ জুন জানালেন, ঢাকায় যাদের জমি এবং ফ্ল্যাট আছে তারা সবাই কালো টাকা মালিক। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের সুযোগ নিয়েছে স্যোসাল মিডিয়াবাসী। অনেকে বলছেন, স্কুলে টাকা দিতে না পারার কারণে খাতা থেকে তিনবার নাম কাটা হয়েছিল অর্থমন্ত্রীর। লজিং থেকে টিউশনি করিয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি। কুমিল্লা থেকে পায়ে হেটে ঢাকায় এসেছিলেন। তাহলে অর্থমন্ত্রীর আজকের এতো অর্থবিত্ত কি সবই কালো টাকা নয়? 

বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ঢাকায় জমি ফ্ল্যাট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, অর্থমন্ত্রী আসলে কালো টাকা ও অপ্রদর্শিত আয়কে এক করে ফেলেছেন। তিনি বৈধ আর অবৈধ আয়কেও এক কাতারে নিয়ে এসেছেন। অর্থনীতিতে কালো টাকা হলো অবৈধ টাকা। যে টাকার উৎস অবৈধ বা উৎস জানা যায় না তা হলো কালো টাকা। আর যে টাকা বৈধভাবে আয় করা হয়েছে কিন্তু কর দেয়া হয়নি তা হলো অপ্রদর্শিত আয় বা আনট্যাক্সড মানি। তারা আরও বলেন, এই দুই ধরনের টাকা এক করে গুলিয়ে ফেলে সংকট তৈরি করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বিশ্লেষকেরা বলেছেন, অর্থমন্ত্রী ঢালাওভাবে ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাটের মালিকদের কালো টাকার মালিক বলা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সিস্টেমের কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। সরকার যদি জমি ও ফ্ল্যাটের দাম বেঁধে না নিয়ে প্রকৃত দামের ওপর ট্যাক্স নেয় তাহলে সমস্যা থাকে না। অথবা প্রকৃত যা দাম তা বেঁধে দিলেই হয়। কিন্তু ঢালাওভাবে কাউকে কালো টাকার মালিকের তকমা দেওয়া ঠিক নয়। এতে প্রকৃত কালো টাকার মালিকেরা সুযোগ নেয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭