ইনসাইড থট

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ হাসিনা


প্রকাশ: 17/06/2022


Thumbnail

আমরা এতদিন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্মানে অভিহিত করতাম। আজ সেই সন্মান আমরা দিতে চাই জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা পদ্মা সেতুর রূপকারকে- যিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে হিসেবে খ্যাতি অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন; বাংলার গৌরবে  অবদান রেখে ও দক্ষতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে বিশ্বদরবারে ১৬ কোটি বাঙালির মুখোজ্জ্বল ও গৌরবান্বিত করেছেন। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক একটি নতুন সরকারকে যেন উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। সেই মহাষড়যন্ত্রর জাল ছিন্ন করে বাংলার মাটি , বাংলার আকাশ মুক্ত রেখেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহমান রেখেছেন গণতান্ত্রিক ধারাকে। যেভাবে পদ্মা ঢেউ মোকাবেলা করে নাবিক, যেভাবে নৌকার মাঝি যুগ যুগ ধরে পাড়ি দিয়েছেন সাগর-নদী সেই রকম দক্ষতার সঙ্গে বাংলার সরকারের হাল ধরেছেন তিনি। আজ আমার মনে পড়ছে স্কুল জীবনের একটি ইংরেজি কবিতার কথা। যে কবিতায় Walt Whitman বলেছেন, 

O Captain! my Captain! our fearful trip is done,
The ship has weather’d every rack, the prize we sought is won,
The port is near, the bells I hear, the people all exulting,
  
আজ আমি পৃথিবীর বুকে চিৎকার করে বলতে পারি ওরে কিসিঞ্জার তুমি পরাজিত।  তুমি বলেছিলে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। তোমরাই জাতির পিতাকে দাবায় রাখতে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন জাহাজ ভর্তি খাবার বাংলার মাটিতে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির অভিপ্রায়ে। বাঙালি তোমাদের সেই ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে আজ।  আমরাও পারি তোমাদের বিশ্বব্যাংক ছাড়া উন্নয়ন করতে। আমরা পারি গণতান্ত্রিক সরকার দিতে  এবং গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে।  

তোমরাই সেদিন বাসন্তী কাহিনী বানিয়ে বাংলার সাড়ে সাত কোটি আত্মাকে কুঁকড়ে দিতে কুন্ঠিত হওনি। তোমাদের দালালেরা ২১ বছর পার করে গেছে দুর্ভিক্ষর কাহিনী তোমাদের মতো প্রতিধ্বনিত করে । আজ তোমরা বিশ্ববাসী দেখে যাও কিভাবে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা -দারিদ্রকে জয় করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। 

হিলারি তুমি দেখেই যাও নেতৃত্ব কাকে বলে। তুমি বন্ধুর প্রেমে ১৬ কোটি বাঙালির মুখে ছুঁড়ে দিয়েছিলে ছাই। আজ আমরা তোমার কাছে জানতে চাই কি অপরাধ করেছিল বাঙালি ডক্টর ইউনুসকে অবসর দিয়ে। তিনি তো কখনো উচ্চারণ করেননি বঙ্গবন্ধু। অথচ তিনি লুটেছেন গরিবের অর্থ গ্রামীণ সুতির ফতওয়ার লেবাসে! গ্রামীণ সুদে সুদে ঢাকা বাংলার অর্থনীতির আকাশ আজ নীলাভ। নেই কোনো মেঘ যদিও তোমরা মেতে আছো ইউক্রেন-অমিক্রন আর ঠান্ডা লড়াইয়ে। সেদিন সকলে পূর্বাভাস করেছিল করোনাতে মারা যাবে  লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেই সময়ে বাংলার অর্থনীতি ছিল প্রবাহমান জিডিপি ছিল ৫% এর উপরে।  

আজ ঘরে ঘরে আছে বিদ্যুৎ আর মোবাইল নেটওয়ার্ক। সেই কৃতিত্ব যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে তিনি আর কেউ নন আমাদের জাতির পিতার কন্যা - শেখ হাসিনা। রাতের আঁধারে মাছের কাটা বাছতে কুপিটা বাড়িয়ে দিতেন মা। এখন আর আমাদের সেই কষ্ট নেই। এখন আমাদের গ্রামেও আছে সোলার স্ট্রিট লাইট। তাই পথ চিনতে আমাদের কষ্ট হয়না অমাবস্যার রাত্রিতে।  

আমাদের কৃষক এখন বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ব্যবহার করে ক্ষেতে পানি দিয়ে থাকে।  এখন গ্রামের যুবক বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করে অটো কিংবা ইজি বাইক চালায়। আর এই সফলতার দুয়ার খুলে দিয়েছেন যিনি তিনি আমাদের নতুন প্রজন্মর মা - শেখ হাসিনা।  

তোমরা দিয়েছো জঙ্গিবাদের লড়াই। সেই লড়াইয়ে বাঙালির বিজয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আজ বাংলার পালে লেগেছে সমৃদ্ধির সুবাতাস।  রোগ বালাই বিদায় দিতে আছে কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলার গ্রামে গ্রামে। শহরের বেগম সাহেবান কেবল রাইস কুকারে রান্না করেন না।  পল্লী বালা এখন আর পাতা কুড়াতে বনের মাঝে সংগ্রাম করে না। গ্রাম গঞ্জে এখন পৌঁছে গেছে সিলিন্ডার গ্যাস। আজ ঘরে বসেই পল্লীবধূ সুখ দুঃখের কথা বলে প্রবাসে কিংবা মায়ের সঙ্গে।  

এখন আসমানীরা ভেন্না পাতার ছাউনি দেয়া ঘরে বসবাস করে না। শিল্পীর গান এক মুঠো ভাত পায়না খেতে গফুর -আমিনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বাংলার পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ব সভায় যে নেত্রী তিনি আমাদের আপা শেখ হাসিনা। কিংবা লাঙ্গল দেয়ার গরু নেই বলে আমিনাকে বাবার লাঙ্গল টানতে হয় না। এখন নিশুতি রাতের গান শুনে বাংলার নারীসমাজ পোশাক শিল্পের হাল ধরেছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে সেই মহান নেতা শেখ মুজিবের কন্যা শেখ  হাসিনার সরকারের মনন ও পদক্ষেপে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক আমার একজন প্রিয় লেখক। দেখা হলেই তিনি নানান রাজনৈতিক আলোচনা করতেন। তার একটি গ্রন্থের শিরোনাম : অবক্ষয় ও উত্তরণ। সেখানে তিনি বাংলাদেশে ভালো নেতৃত্বের অভাব কেন শিরোনামের প্রবন্ধে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন।  সেখানে তিনি লিখেছেন " নেতৃত্বর গুণাবলি অর্জনের জন্য প্রাণান্ত সাধনা করতে হয়।  তবে সাধনা ও সংগ্রাম জন সমর্থনের অভাবে ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। " গতকাল স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম।  সন্তান হারা পিতা হয়ে বলেছিলেন তিনি সন্তানের হত্যাকারীর বিচার চান না।  তিনি এখনো নেতৃত্বের সংকট বাংলায় দেখতে পান।  তবে একথাও বলেন:  “শেখ হাসিনার বিকল্পও নেই। “আমি তার সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই –“ শেখ হাসিনার বিকল্প নেই” বলেই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি - যার পরশে বাংলার আকাশ -বাতাস জেগে উঠে।  বাংলার সূর্য সন্তান শেখ হাসিনা শুধু বাংলাকেই আলোকিত করেননি। তিনি বিশ্বকেও আলোকিত করেছেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে। লক্ষ লক্ষ পরিবার তার আশ্রায়ন প্রকল্পে ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে।  ধন্য আমি ধন্য ওগো শেখ হাসিনার মতো নেতা পেয়ে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা অন্ধকার দেখেছিলাম চারিদিকে।  সেই অন্ধকার দূর করে বাংলার ঋদয় আকাশকে আলোকিত করেছেন তিনি।  

শেখ হাসিনা এমন একজন ব্যক্তি যার  নেই কোনো মোহ, আছে ত্যাগের অসাধারণ ক্ষমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।  বাংলার জনগণকে যেমন তিনি গভীর ভালোবাসেন তেমনি জনগণও তাকে ভালোবেসে জীবন দিতে প্রস্তুত। যিনি ভালোবাসেন ওই গানটি " আমার স্বাদ না মিটিল আশা না পুরিলো সকলেই ফুরায়ে যায় মা " এখানে তার আশা বাংলার মানুষের খেদমত করবার আশা - আল্লাহ কাছে আমাদের দোয়া তার আশা যেন পূরণ করে দেন। তার চরণে হাজার সালাম।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭