অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ সচল ও মূল্য ঠিক রাখতে আগামী অর্থ বছরে চিনি রপ্তানিতে সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেবে ভারত। দেশটির শিল্প ও সরকারি সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বরে) দেশটি চিনির ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টন রপ্তানি সীমা নির্ধারণ করতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এতে চিন্তা বাড়ছে বাংলাদেশের বাজারে।
বাংলাদেশের মোট চাহিদার তুলনায় চিনির উৎপাদন অতি নগন্য। প্রায় ৯৬ শতাংশ চিনিই আমদানি করে মেটাতে হয় চাহিদা। অপরিশোধিত চিনির একটি বড় অংশই আসে ভারত থেকে। চলতি অর্থবছরে মোট আমদানির ৪৯ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত চিনিই এসেছে ভারত থেকে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিলে সাদা চিনির দাম আরও বেড়ে যেতে পারে বলে।
চলতি বছরের মে মাসে গম রপ্তানি নিষিদ্ধের পর চিনি রপ্তানিতে সীমা বেঁধে দেয় ভারত সরকার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পণ্যটির রপ্তানি এক কোটি টনে সীমাবদ্ধ রাখে দেশটি।
চিনি উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে থাকা ভারত, রপ্তানিতে আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তাদের অবস্থান কেবল ব্রাজিলের পেছনে। ভারত বিশ্বের অন্তত ১২১টি দেশে চিনি রপ্তানি করলেও তাদের প্রধান ক্রেতা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।