ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্যায় প্লাবিত হতে পারে আরও ১৬ জেলা


প্রকাশ: 18/06/2022


Thumbnail

সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং নেত্রকোণায় বর্তমানে বড় ধরনের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সকল উপকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার ভয়াবহতা এতো যে, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পানিবন্দিদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনী। এদিকে সিলেট অঞ্চলের যখন এই অবস্থা তখন নতুন দুঃসংবাদ এসেছে। আগামী ১০ দিনে দেশের মধ্যাঞ্চলেও বন্যা বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। এক্ষেত্রে প্লাবিত হতে পারে আরও অন্তত ১৬টি জেলার নিম্নাঞ্চল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী ২২ জুন নাগাদ দেশের প্রায় সব বন্যাপ্রবণ নদ-নদীর পানি সবচেয়ে বেশি হারে বাড়বে। এরপর কোথাও কোথাও কমবে। ফলে আরও নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

পাউবো জানিয়েছে, বর্তমানে ১০টি নদ-নদীর পানি ১৩টি স্থানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়া ও চিলমারীতে, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরীতে, ধরলার পানি কুড়িগ্রামে, তিস্তার পানি ডালিয়ায়, সুরমার পানি কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জে, সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে, পুরাতন সুরমার পানি দেরাইয়ে, যদিুকাটা নদীর পানি লরেরগড়ে, সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় ও ভুগাই নদীর পানি নাকুগাঁওয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবেচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে সুরমা, যাদুকাটা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি।



বাংলাদেশ উত্তরাঞ্চল ও উজানের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অবস্থিত ভারতের অরুণাচল ও আসামে আগামী ১৫ দিনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের প্রভাবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। ফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও পাবনা জেলায় ৭-১০ দিন মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ইতিমধ্যে কুড়িগ্রামের চিলমারী প্লাবিত হয়েছে।
 
এছাড়া হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা এবং ধরলা নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলায় ৫-৭ দিন মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

গঙ্গা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। যার ফলে জুন মাসের চতুর্থ সপ্তাহে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।



বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মেঘনা আববাহিকা ও তদসংলগ্ন ভারতের মেঘালয় ও বরাক অববাহিকায় ১৫ দিনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং সময় বিশেষে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা, কুশিয়ারাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য আববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা কম।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭