ইনসাইড বাংলাদেশ

শ্বেতপত্র পরীক্ষা করতে পর্যালোচনা কমিটি গঠন


প্রকাশ: 23/06/2022


Thumbnail

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দেওয়া শ্বেতপত্র পরীক্ষা করতে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধানের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয় তিনি এ কথা বলেন। 

দুদক সচিব বলেন, আলেমদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য প্রকৃত বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা এই যে, সম্প্রতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ২২১৫ পাতার একটি শ্বেতপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে। শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে সংক্ষিপ্তসার কমিশনে উপস্থাপন করার জন্য দুদক থেকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করাই এই কমিটির দায়িত্ব। আলেমদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধানের কোনো দায়িত্ব কমিটিকে দেওয়া হয়নি। এমনকি কমিশন থেকে কোনো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, দুদকের সরাসরি পত্রযোগে ১০৬ হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে কোনো দুর্নীতির উপাদান বা তথ্য পাওয়া গেলে তা আইনের শিডিউলভুক্ত হলেই অনুসন্ধানের অনুমোদনের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। এটিই দুদকে অভিযোগ প্রাপ্তি ও নিষ্পত্তির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। 

দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দুদকের গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটি একটি সংক্ষিপ্তসার কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে মাত্র। কমিটিকে কোনো অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বা দুদক থেকে কোনো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি। ধর্মীয় বক্তা বা আলেমদের আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধান সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম এ কমিটি শুরু করবে না। এধরনের কোনো দায়িত্ব কমিটিকে দেওয়া হয়নি। কমিটি কেবল শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে তাদের পর্যবেক্ষণ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। পরে কমিশন বিষয়বস্তু বিশদ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আশা করি এবিষয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার অবকাশ থাকবে না। 

এর আগে গত ২১ জুন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও উপ-পরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ। দুদক এই টিমকেই সংবাদ সম্মেলনে অভ্যন্তরীণ কমিটি বলছে।

দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ বইয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড এবং তার শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্তের ওপর তদন্ত করে ধর্ম ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে গণকমিশন নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে দুর্নীতি দুদকে তালিকা জমা দিয়েছিল। গত ১১ মে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে এই শ্বেতপত্র ও ১১৬ সন্দেহভাজন ধর্ম ব্যবসায়ীর তালিকা তুলে দেওয়া হয়। গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭