গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরই মধ্যে ইউক্রেনের অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থার দাবি, ইউক্রেনের ১৫২টি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জাদুঘর, স্মৃতিস্তম্ভ, গীর্জা এবং অন্যান্য ধর্মীয় ভবন, গ্রন্থাগার ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউনেস্কো বলছে, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার অংশ হিসেবেই ক্ষয়ক্ষতির নথিপত্র তৈরি করা হচ্ছে।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অদ্রে আজুলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানে বারবার এই হামলা বন্ধ করতে হবে। যে কোনো অবস্থাতেই কোনো সাংস্কৃতিক বা ঐতিহাসিক স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
ইউনেস্কো বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে বহু ঐতিহাসিক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই রাজধানী কিয়েভ, পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এবং দোনেৎস্কের।
এদিকে খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনেহুবোভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের আবাসিক জেলাগুলো এবং বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার কামান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গল (২১ জুন) ও বুধবার (২২ জুন) খারকিভে হামলা চালানো হয়। এই অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে।