ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের জন্য আরও দুঃসংবাদ


প্রকাশ: 23/06/2022


Thumbnail

ইউনূস সেন্টার হলো একটি ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট। ড. ইউনূস নোবেল জয় করে যে অর্থ পেয়েছিলেন সেটি এই ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও ইউনূস সেন্টারের মাধ্যমে সামাজিক ব্যবসাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং এই সমস্ত কার্যকলাপ থেকে যে অর্থ আসে সেই অর্থ ইউনূস সেন্টারে জমা হয়। আইনের দ্বারা নিবন্ধিত একটি ট্রাস্টের অর্থ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার নিজের একক একাউন্টে স্থানান্তর করেছেন। সেটি এক-দুই টাকা নয়, ১৫৩ কোটি টাকা ড. ইউনূস গত অর্থবছরে ইউনূস সেন্টার থেকে নিজের ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে এসেছেন। ইউনূস সেন্টার একটি অলাভজনক সংস্থা এবং এটি একটি ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত। ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া ট্রাস্টের অর্থ তার এবং অন্যদের একাউন্টে আনার জন্য দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। একটি মামলায় হাইকোর্ট বলা হচ্ছে যে, ট্রাস্টের ব্যক্তিগত একাউন্টে হস্তান্তর আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। আর এই একই অপরাধে এখন অভিযুক্ত হলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এ কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং যেকোনো সময় তিনি ফেঁসে যেতে পারেন বলেও সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের ঠকানো, তাদের প্রতারণার অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় যখন তিনি দোষী প্রমাণিত হবেন, এ রকম পরিস্থিতিতে গ্রামীণফোন এগিয়ে আসে এবং গ্রামীণফোন এককালীন প্রত্যেক কর্মচারীকে ৪৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে। কেন গ্রামীণফোন ড. ইউনূসের জন্য এ টাকা পরিশোধ করলো এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, যেহেতু গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণফোনের অংশীদার সেজন্য গ্রামীণ টেলিকমের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহল বলছে যে, টেলিনরের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন আসলে আন্তর্জাতিক চাপে ড. ইউনূসকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে এবং টাকা পরিশোধ করে মামলা প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু এই ধকল কাটতে না কাটতেই নতুন সংকটের মধ্যে পড়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা ট্রাস্ট থেকে তিনি সরাসরি নিজের একাউন্টে নিয়ে এসেছেন, আর ১৫০ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এসেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে।

যে টাকাগুলো তিনি ইউনূস সেন্টারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সরিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। ইউনূস সেন্টারের কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যায় যে, এটি মূলত সামাজিক ব্যবসা এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিন্তা-দর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের কাজ করে। ইউনূস সেন্টার মূলত একটি পিআর ফার্ম হিসেবেই কাজ করে যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইমেজ বৃদ্ধির কাজটি করা হয়। আর এ কারণেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেখান থেকে, পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে অর্থ পান সেটি ইউনূস সেন্টারের মাধ্যমে জমা হয়। আর এই অর্থ গুলো বিভিন্ন দেশে তিনি পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগও পাওয়া গেছে। সেই অভিযোগ তদন্ত হোক না হোক, ড. ইউনূস যে সেন্টারের টাকা তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আনছেন সেটি আইনের দৃষ্টিতে প্রমাণিত অপরাধ এবং এই অপরাধের জন্য তিনি শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সামনের দিনগুলোতে ড. ইউনূসের জন্য আরো সময় অপেক্ষা করছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭