ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার বিরুদ্ধে গম চুরির সত্যতা মেলেনি: তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশ: 23/06/2022


Thumbnail

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের গম চুরির প্রমাণ পায়নি তুরস্ক। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদসম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। 

আঙ্কারায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফরে দুই দেশের যৌথ সংবাদসম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলু বলেন, ‘আমরা এই অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তকাজের অংশ হিসেবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে তুরস্কে যত গম এসেছে, সেসবের প্রতিটির রেকর্ড অনুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছে রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী দল।’

‘কিন্তু তদন্তে এমন কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা ইউক্রেনের অভিযোগকে কোনো প্রকার সত্যতা বা ভিত্তি দিতে পারে।’

গত ৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও)  উপপরিচালক জোসেফ স্মিদুবের জানান, যুদ্ধাবস্থা ও তার ফলে সৃষ্ট অবকাঠামোগত বিপর্যয় এবং ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দেশটির গুদামগুলোতে প্রায় আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা আটকে আছে।

তারপর চলতি জুন মাসের প্রথম দিকে আঙ্কারায় নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল ও গুদানসমূহ থেকে গম চুরি করে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি করছে রাশিয়া।

পাশপাশি, এই চোরাই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তে তুরস্কের সহযোগিতাও কামনা করেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত। সেই অনুযায়ী এই অভিযোগের তদন্ত করে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সংবাদ সম্মেলনে কাভুসোগলু আরও বলেন, ‘তুরস্ক নীতিগতভাবে এক দেশের চুরি করা পণ্য অন্যদেশ কর্তৃক কেনা-বেচা করার বিরোধী। যদি কখনও আমরা আঁচ করতে পারি যে, রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ ইউক্রেনের গম বা যে কোনো পণ্য চুরি করে বিক্রি করছে, সেক্ষেত্রে সেসব পণ্য কখনও আমরা গ্রহণ করব না।’

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

তুরস্ক একই সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেন— উভয়েরই মিত্র দেশ। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সমস্যা কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানে গত মার্চ থেকে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন। প্রথম দিকে বেলারুশে এই বৈঠক বসলেও গত এপ্রিল থেকে এই বৈঠকের আয়োজক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে তুরস্ক। বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দূত হিসেবেও কাজ করছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার ১১৯তম দিনে পৌঁছেছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্কের সেভারদনেতস্ক শহরে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে তীব্র সংঘাত চলছে রুশ বাহিনীর।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭