ইনসাইড থট

বাংলার রাজনৈতিক নক্ষত্র শেখ হাসিনা


প্রকাশ: 24/06/2022


Thumbnail

আমার আগের লেখাটিতে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের লেখা থেকে উল্লেখ করে লিখেছিলাম, নেতৃত্ব অর্জনে সাধনা ও সংগ্রাম করতে হয়। বিশ্ব ব্যাংকের মতে, সেই সাধনা ও সংগ্রামের  মাঝে প্রকাশ পায় নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তির দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা, স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ভিশন, গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ, মুক্ত এবং শুদ্ধ প্রক্রিয়া সৃজনের সক্ষমতা, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিকল্পনা ও পলিসিগুলোকে অপমার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করবার যোগ্যতা, অপ্রতুল সম্পদের সুষম বন্টনের দক্ষতা প্রদর্শন সহ বেশ কিছু গুণাবলী। আর এসব গুণাবলী যখন চৌকসভাবে কোনো ব্যক্তির মাঝে প্রকাশ পায় তিনি নক্ষত্রের মতো স্ব-আলোয় আলোকিত।

আমি বাংলার আপামর জনতার নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলার রাজনৈতিক নক্ষত্র বলতে চাই।  হয়তো অজানা কেউ কিংবা আগামী প্রজন্মর কেউ জানতে চাইবেন তিনি কিভাবে বাংলার রাজনৈতিক নক্ষত্র? আমি তাদের জন্য একে একে বলে যাবো জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার মহান কীর্তিগুলোকে।  শুধু আমিই নই আমার মতো যেকোন বাঙালি পরিবার নেতৃত্বের উজ্জ্বল নক্ষত্রের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলবেন শেখ হাসিনা। এক জনমে নাকি সব কিছুর সাধন হয় না। এক জনমে নাকি সবকিছু পাওয়া যায় না। আমাদের নবী ঈসা (আঃ )কে পৃথিবীতে আসতে হবে হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মত হতে।  কিন্তু এক জনমে সফল হয়েছেন এমন ব্যক্তির হিসেবে নেয়া হয় তবে সবকিছু  দিতে ও পেয়েছেন যিনি তিনি শেখ হাসিনা।  

১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরে আসলেন তখন কারো ধারণা ছিল না যে বিভক্ত হয়ে যাওয়া একটি দলকে তিনি সুসংগঠিত করতে সক্ষম হবেন। ২১ বছর তিনি বাংলার পথে প্রান্তে হেঁটেছেন জাতির পিতার হত্যার বিচার এবং বাংলার জনগণের স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞায়।  তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বেন। তিনি বাংলার মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন একটি শুদ্ধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর তাই বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে তিনি বেছে নিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাকে। দেশে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।  

বাংলাদেশের সংবিধানকে তার কিছু পূর্বসূরিরা আদর্শ সংবিধান হতে দেয় নি। তিনি জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতিকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আবার ফিরে গেছেন ১৯৭২ সালের সংবিধানে। জনগণের আকাঙ্খার প্রতি শ্রদ্ধা ও সেটা অর্জনে দৃঢ়তা আজ যেন অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। একটি দেশকে সকলের জন্য করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল তার স্বপ্ন। তিনি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পার্বত্য চুক্তি এবং সকল ধর্মের মানুষের শান্তির নিবাসে পরিণত করেছেন।

আজ উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা সেতু। বাঙালির প্রাণের সেতু। বাঙালির মুক্তির সেতু। এই সেতু কেবল দৃঢ়তা, স্বচ্ছতা, জাবাবদিহিতা, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর বহন করে না। এই সেতু যেন এক মহানায়কের মহান কীর্তি। আজ আমাদের বাংলাদেশকে এক নতুন দিগন্তে কোমল, শুভ্র প্রখর আলোয় আলোকিত করেছেন শেখ হাসিনা। 

আজ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কিংবা মহাকাশে স্যাটেলাইট কেবল স্বপ্ন নয় - বাস্তব ও সত্য। আর এই সফলতার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে যার অবদান তিনি আমাদের আপা শেখ হাসিনা। মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে গিয়ে প্রবেশ পথে একটি লেখা দেখেছিলাম - Dream Large . সেই থেকে আমি আমার বড়ো বড়ো স্বপ্নের কথা আমাদের আপাকে বলতাম। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়বো যাতে আমাদের যারা দেশ ছেড়ে চলে গেছে তারা এক মহাকর্ষণ শক্তি অনুভব করবে প্রাণের মাঝে। আর সেই শক্তি হ্যামিলনের বংশী বাদকের মোহনীয় শক্তি- ফিরিয়ে আনবে সকল বাঙালিকে তার নিজের বাসভুমিতে। শুনেছি যারা বাসভূমি ছাড়ে তারা নাকি হতভাগা। যেন এক জন  বাঙালিকে হতভাগ না হতে হয় সেই শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলা গড়েছেন শেখ হাসিনা।  

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যাতে প্রাণের মাঝে প্রতিটি নাগরিক উপলব্ধি করে সেজন্য তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আজ আমরা বাংলার কলংকিত ইতিহাসকে সমুজ্জল করেছি নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির পথে হেঁটে।

এখন নৌকার পালে বইছে হাওয়া। যারা এক সময় কেঁড়ে নিয়ে বন্ধ করেছিল বিনিয়োগের ঝাঁপি, আজ সেই  বিশ্ব সমাজ বাংলার এই মহান নেত্রীর পিছনে ছুটছে। কিন্তু আর ঋণের বোঝা নয়, বাংলাকে শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান বানানো নয় - নিজের সম্পদ আজ নির্দ্বিধায় আমরা তুলে দিয়েছে নেত্রীর হাতে যাতে ভিক্ষার থলি নিয়ে দাতা দেশের পেছনে ছুটতে না হয় জাতির উন্নয়ন স্বপ্নকে বাস্তবায়নে।  

আজ আমরা অর্জন করেছি সমুদ্রের বুকে আরেক বাংলাদেশ। সেই সুনীল সাগরে আমরা খুঁজে পাবো আগামী প্রজন্মর উন্নয়নের রসদ। জয় বাংলা বলতে বলতে আবার ফিরে আসবেন কবি জীবনান্দ দাস, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ তাদের হারানো বাংলায়। আগামী প্রজন্ম গর্বে বিশ্ববাসীকে বলবে - শেখ হাসিনা বাংলার রাজনৈতিক নক্ষত্র।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ বিশ্ব দরবারে শান্তির পতাকা বহন করছে অতীতের সকল কালিমা মুছে। আজ আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং নিয়ে ভাবছে। তাদের সকল  স্বপ্ন বাস্তবায়নে আলোকবর্তিকা হয়ে আবির্ভুত হয়েছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।এখন আমাদের গাইবার সময় - যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান, ততদিন রবে  স্বর্ণ শিখরে শেখ হাসিনা সন্মান। জয়তু শেখ হাসিনা - উন্নয়নের কিংবদন্তি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মহানায়ক - হাজার সালাম আপনার চরণে। আমরা বিশ্ব  জয় করবো আপনার নেতৃত্বে।রাজনৈতিক নেতৃত্বের উজ্জ্বল নক্ষত্র শেখ হাসিনা মনে প্রাণে বাঙালি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭