এবার নির্জন কারাগারে সু চি

অজ্ঞাতবাস থেকে নির্জন কারাগারে স্থানান্তরিত হলেন মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। রাজধানী নেপিডোর একটি নির্জন কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে তাকে। এখন থেকে সব মামলার শুনানিতে এখান থেকেই অংশ নেবেন তিনি। দেশটির সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন এক বিবৃতিতে এসব তথ্য দেন। 

বুধবার (২২ জুন) থেকে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানান জান্তা সরকারের ওই কর্মকর্তা। এর আগে গত এক বছর ধরে তাকে রাজধানীর অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী তার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার সময় নোবেল জয়ী ৭৭ বছর বয়সী সু চি গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির ১৫০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। এরই মধ্যে তিনি ১১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সু চি ভালো আছেন এবং তাকে সহায়তা করার জন্য কারাগারে তিনজন নারী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে পোষা কুকুর বা সহায়তার জন্য কোনো গৃহকর্মীকে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সামরিক সরকারের একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে এটি মিয়ানমারের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী করা হয়েছে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা করে আসছে। রুদ্ধদ্বার শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সু চির আইনজীবীদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জান্তা সরকারের মন রক্ষায় গণহত্যায় সমর্থন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিথ্যাচার করেও শেষ রক্ষা হলো না নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীর। অভ্যুত্থানের পর জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রাখা সু চি কতদিন নির্জন কারাবাসে থাকবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।