মাওয়া পয়েন্টে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর সঙ্গে সঙ্গে খুলে গিয়েছে স্বপ্নের দ্বার। পূরণ হলো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহু যুগের লালিত স্বপ্ন। সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী আরেকবার জানল বাংলাদেশের অহংকার, আবেগ ও আভিজাত্যের জৌলুশ।
মাওয়া প্রান্তের ফলক উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর সেতুর উপরে ওঠেন। পদ্মা সেতু মাঝখানে নেমে বিমান বাহিনীর মহড়া দেখেন তিনি। পদ্মা সেতুর উপর দাঁড়িয়ে তিনি বাংলাদেশের পতাকা উড়ান। ওই সময় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে লাল-সবুজের রঙের আবির ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়া সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল ২-এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।
এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী-সমাবেশে দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে যাবেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন।