ইনসাইড পলিটিক্স

কি পাবেন আবুল?


প্রকাশ: 25/06/2022


Thumbnail

দীর্ঘদিন পর সৈয়দ আবুল হোসেনের দেখা মিললো। সৈয়দ আবুল হোসেনকে কাছে ডেকে নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সেই সময়ে যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রধানমন্ত্রীর পাশেই ছিলেন। সৈয়দ আবুল হোসেন পদ্মা সেতুর সবচেয়ে বড় ভিকটিম। এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে যেয়ে তিনি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে বিসর্জন দিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে, রাজনীতি থেকেও তিনি প্রায় নির্বাসিত হয়েছেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল হোসেনকে যখন প্রধানমন্ত্রী ডেকে নিলো তখন এক নিমিষে তিনি যেন সবকিছু ফিরে পেলেন। কিন্তু রাজনীতিতে দলের নেতার স্নেহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সবকিছু নয়। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলো সেই সময়ে যাদেরকে অপমানিত করা হয়েছিল, যাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল, তাদের অনেকেই অনেক কিছু পেয়েছেন শুধুমাত্র সৈয়দ আবুল হোসেন ছাড়া।

পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে তিনি চাকরি ফিরে পান এবং একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর এখন তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ড. মশিউর রহমান রহমানও প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে বহাল রয়েছেন। শুধুমাত্র মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। তারপর তিনি একটি নিভৃত জীবনযাপন করেছেন। বিশেষ করে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর রাজনীতি থেকেও তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন। গত দুটি নির্বাচনে তিনি মাদারীপুর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ফলে আবুল হোসেনের রাজনৈতিক জীবন একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তিনি আবার কি রাজনীতিতে ফিরে আসবেন?

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সৈয়দ আবুল হোসেনকে দেখে অনেকেই খুশি, আবেগাপ্লুত। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, এই একদিনের আবেগই কি যথেষ্ট? সৈয়দ আবুল হোসেন কি এবার কিছু পাবেন? পেলে তাকে কি দেয়া হবে? আবুল হোসেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই বা কি? এগুলোই এখন রাজনীতিতে ঘুরেফিরে আসছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ঘটনা প্রমাণ করলো যে, সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগে অপাংক্তেয় নন। বরং আওয়ামী লীগ সভাপতি পদ্মা সেতুর সময়কার একাধিক বক্তৃতায় আবুল হোসেনের ওপর যে অন্যায় হয়েছে সে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন কিন্তু আবুল হোসেন এখন পর্যন্ত পুরস্কৃত হননি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, যারা বিভিন্ন সময় নির্যাতিত-নিপীড়িত হন, অন্যায়ের শিকার হন তাদেরকে বড় পুরস্কার দিয়ে চমকে দেন। সৈয়দ আবুল হোসেন কি সেরকম কোনো বড় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন? কি পুরস্কার তিনি পাবেন, সেটি এখন রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের জল্পনা-কল্পনার বিষয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭