দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। বাস-ট্রাক আর নিজস্ব প্রাইভেটকারে অনেকেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন আজ।
রোববার (২৬ জুন) সকালে পদ্মার সেতুর দুই প্রান্তে এমনই চিত্রই দেখা গেছে।
উদ্বোধনের ১৮ ঘণ্টা পর রবিবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। খুলে দেওয়ার পর সেতুর দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
টোলপ্লাজায় এক একটি যানবাহনের টোল আদায় করতে যে সময় লাগছে, তার তুলনায় যানবাহনের চাপ অনেক বেশি হওয়ায় এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এক একটি গাড়ির টোল আদায় করতে দু-তিন মিনিটের মতো লাগছে। মোট ছয়টি বুথ থেকে টোল আদায় করা হলেও, যানবাহনের চাপ অত্যধিক হওয়ায় এই যানজট তৈরি হয়েছে।
যদিও দীর্ঘ জ্যামে কিছুটা ভোগান্তি হলেও অনেকে আবার পদ্মা পাড়ি দিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
প্রাইভেটকার নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে আসা মো. দেলোয়ার বলেন, সকালেই অনেক জ্যাম পড়ে গেছে। প্রায় এক ঘণ্টা জ্যামের মধ্যে আটকে ছিলাম। তবে টোল পর্যন্ত এসে এখন ভালোই লাগছে, কিছুক্ষণের মধ্যে পদ্মা বাড়ি দিবো।
বাইকচালক মোহাম্মদ ইমরান বলেন, মাদারীপুরে কাজে যাচ্ছি। দুই কিলোমিটার জ্যামের মধ্যে ছিলাম। এতক্ষণ ভোগান্তি মনে হলেও এখন ভালো লাগছে।
টোল প্লাজায় টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত সাগর হোসেন বলেন, আজকেই প্রথম যান চলাচল শুরু হয়েছে। তাই গাড়ির একটু চাপ রয়েছে। আর এখানে সবকিছুই যেহেতু নতুন, একটু সময় তো লাগতেই পারে।
এর আগে, রোববার (২৬ জুন) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে উদ্বোধনের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। আগের দিন (শনিবার) বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।