ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করেছে বিএনপি


প্রকাশ: 28/06/2022


Thumbnail

গত ২৫ জুন স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিকসহ মোট প্রায় অতিথি ছিলেন প্রায় ৩ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে। এর মধ্যে বিএনপির ৭জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে  আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র পাওয়া বিএনপির এই ৭ নেতার কেউ উদ্বোধনী অনুষ্টানে উপস্থিত থাকেন নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে দলটির নেতারা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তাদের পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন। সেই ভয় থেকে তারা যাননি বলে জানিয়েছেন। গত ২৬ জুন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদও সংসদে একই কথা বলেছেন। সেতু পার হতে গেলে তাঁকে পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয় কি না, তা নিয়ে তিনি আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন সংসদে। কিন্তু বিএনপি নেতাদের এধরনের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর অনুষ্ঠানে যোগদান করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এটি শুধু আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় প্রোগ্রাম ছিল না। এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম ছিল। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উপিস্থিতি কাম্য ছিল। আওয়ামী লীগের দলীয় জনসভা থাকলেও সেটা পৃথকভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে বিএনপি রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের। এর আগেও রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করার নজির রয়েছে দলটিতে। ২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র কোকোর মৃত্যু হলে শোকে মূহ্যমান একজন মায়ের কাছে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে ছুটে গেছেন আরেক মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি। তাঁকে গেট থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। স্বাভাবিক ভদ্রতাটুকু দেখানোর মতোও কেউ সেখানে ছিলেন না। অথচ শেখ হাসিনার ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে জামাত নেতা ড. রিদওয়ান উল্লাহ শাহেদি, খেলাফত মজলিস নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামীকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। এভাবে বিএনপি বার বার রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করার নজির স্থাপন করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পদ্মা সেতুর বিরোধীতাকারীদের প্রধানমন্ত্রী ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন কিন্তু আসলেই তিনি ফেলে দিতেন, কখনোই তিনি এই কাজ করতেন না। প্রধানমন্ত্রী তার ওই কথার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দিয়েছেন। আর বিএনপি নেতারা যে যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে তা যুুক্তি সঙ্গত নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭