ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তাদের বিচার হোক


প্রকাশ: 28/06/2022


Thumbnail

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। গত ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। পদ্মার বুক চিরে এখন এই সেতু বাঙালির গৌরবের প্রতীক। পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আর এর ফলে বাংলাদেশ আত্মমর্যাদার নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কেবল একটি স্থাপনা নির্ভর নয়। পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত উপেক্ষা করে। সব ষড়যন্ত্র, চক্রান্তকে পরাজিত করেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন। আর এই পদ্মা সেতুটাই একটি যুদ্ধের মতো, যে যুদ্ধে একটি প্রতিপক্ষ ছিলো।

পদ্মা সেতু যেন নির্মিত না হয় সেজন্য বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। আর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে প্ররোচনা দিয়েছিলেন যারা তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর তাই পদ্মা সেতু যখন সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাস্তবতা পেয়েছে তখন ড. ইউনূসসহ আরও যারা ষড়যন্ত্রকারী আছে তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা হোক। কারণ, পদ্মা সেতুর বিরোধিতা মানেই হলো রাষ্ট্রদ্রোহিতা। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিচার হওয়া উচিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে।

আমরা একটি দেশের একটি সরকারের সমালোচনা করতে পারি, আমরা একটি নীতি-কৌশলের সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু যখন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করে তখন তা দেশদ্রোহিতা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে দেনদরবার করে সেই দেশদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন। শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূস নয়, পদ্মা সেতু যেন না হয় সেজন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের সম্পাদক মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনাম। এই পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কথিত অভিযোগ তারাই প্রথম তাদের পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন, যে অভিযোগকে কানাডার আদালত গালগল্প বলেছে। পদ্মা সেতু যেন না হয় সেজন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি পদ্মা সেতুতে কথিত দুর্নীতির অভিযোগের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পদ্মা সেতুতে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এই কমিশন নিশ্চয়ই খুব শীঘ্রই গঠিত হবে। কারণ, এটি এখন আইনি বাধ্যবাধকতা। এই কমিশন যাদেরকে চিহ্নিত করবে তাদের যেন রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ, রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ। একজন ব্যক্তি যখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তখন তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচিত হন। পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীরা রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, রাষ্ট্রের অস্তিত্বের বিরোধিতা করেছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের যেমন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের আইনে বিচার করি, ঠিক তেমনি যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী চিহ্নিত করে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে তাদের আইনের আওতায় আনাটা খুব জরুরী। আমরা আশা করবো দ্রুত কমিশন কমিশন গঠিত হবে, ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করবে এবং এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের বিচার করা হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭